ভিডিও

ভালোবাসার তিন দশকে শরীফ রাজকুমার-অনুপমা মুক্তি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৪, ০৫:৫৯ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০২৪, ০৬:০২ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

অভি মঈনুদ্দীন: শরীফ রাজকুমার ও অনুপমা মুক্তি বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের সফল তারকা দম্পতি। গানের জুটি হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে স্বর্ণালী সময় কাটিয়েছেন তারা দু’জন ২০০০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত। সেই সময় দেশের মধ্যে বিশেষত রাজধানীতে নানান ধরনের অনুষ্ঠানে শিল্পী হিসেব শরীফ-মুক্তির প্রাধান্য ছিলো বেশ।

১৯৯৫ সালে শরীফ রাজকুমার যখন রাজধানীর বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নজরুল সঙ্গীতের সার্টিফিকেট কোর্স প্রায় শেষের দিকে সেই সময় অনুপমা মুক্তি সম্ভবত একই প্রতিষ্ঠানে একই বিষয়ে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সেই বছরই দু’জনের মন দেয়া নেয়া হয়। আর পাঁচ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০০০ সালের ১৪ নভেম্বর বিয়ে করেন তারা দু’জন। ২০০৬-এর ২১ সেপ্টেম্বর তাদের একমাত্র সন্তান (কন্যা) আনিশবার জন্ম হয়। যিনি কিছুদিন আগে ও লেভেল সম্পন্ন করেছেন।

শরীফের একমাত্র গানের অ্যালবাম আসাদুজ্জামান খোকনের লেখা ও তার সুর সঙ্গীতে ‘ভালোবাসার বায়না’। তারই সুরে অনুপমা মুক্তির প্রথম গান ছিলো ‘শুধু কাছে এসে আড়ালে রেখে’ গানটি। এটি বিটিভিতে মুক্তির গাওয়া প্রথম গান ছিলো। এরপর আরো বেশ কয়েকটি গান গেয়েছেন মুক্তি শরীফেরই সুরে। গানের ভুবনের জুটি হিসেবে এখনো তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসঙ্গে গান করেন কিংবা মুক্তি একা সঙ্গীত পরিবেশন করলেও নেপথ্যে থেকে তাকে সবধরনের সহযোগিতা করেন শরীফ।

এদিকে আগামীকাল শরীফের জন্মদিন। বিবাহিত জীবনের কিংবা চলার পথের একসঙ্গের প্রায় দুই যুগের পথচলা এবং জন্মদিন প্রসঙ্গে শরীফ রাজকুমার বলেন,‘ মুক্তির সঙ্গে আমার বুঝাপড়াটা এক কথায় অসাধারণ। নিঃসন্দেহে মুক্তি ভীষণ গুনী একজন শিল্পী। তার শিল্পী সত্ত্বাকে আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি। সুখে দুঃখে আমরা বাকীটা জীবন একসঙ্গে কাটিয়ে দিতে চাই। আর জন্মদিনে সবার দোয়া চাই।’

মুক্তি বলেন, ‘জীবন আজ এতো সুন্দর আমার জীবনে এই রাজকুমার আছে বলেই। জীবন আজ এতো অর্থবহ এতো সুন্দর মনের একজন মানুষ পেয়েছি বলেই। জীবন আজ নয় বহু আগে থেকেই পরিপূর্ণ। আমি এতো সুখী হবো, এতো সুখে রবো-ভাবিনি কখনো। আল্লাহর কাছে একটাই চাওয়া আমরা যেন সুস্থ থাকি, আমাদের মেয়ের সুখটাও যেন দেখে যেতে পারি।’ মুক্তি প্রথম প্লে-ব্যাক করেন ‘অন্ধকারে চিতা’ সিনেমায়। এরপর তিনি আরো ৬০টি সিনেমায় গান গেয়েছেন। তবে সুচন্দা পরিচালিত ‘হাজার বছর ধরে’ সিনেমায় ‘তুমি সুতোয় বেঁধেছো শাপলার ফুল নাকী তোমার মন’ গানটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা গান। সুজেয় শ্যামের ছোট ভাই অমিতাভ শ্যামের কথা ও সুরে মুক্তির প্রথম প্রকাশিত আলোচিত গানের অ্যালবাম ‘ঝিনুকের মুক্তো’। এরপর শান’সহ আরো অনেক সঙ্গীত পরিচালকের সুরে গান গেয়েছেন তিনি। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS