ভিডিও

বানভাসিদের উদ্ধারে সরেজমিনে কাজ করছে রুকাইয়া জাহান চমক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৪, ১০:১৬ রাত
আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২৪, ০১:৪৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

গেল ছাত্র আন্দোলনে তারকাদের মধ্যে প্রথম দিকে যে কয়েকজন সরব হয়েছিলেন তাদের মাঝে অন্যতম ছোট পর্দার অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। এবার বানভাসিদের উদ্ধারে সরেজমিনে কাজ করতে দেখা গেছে এই অভিনেত্রীকে।

বন্যাদুর্গতদের সাহায্যের জন্য প্রথম থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন চমক। এবার একটি টিম নিয়ে বানভাসিদের উদ্ধারে নেমে গেছেন তিনি।  

সামাজিকমাধ্যমে (ফেসবুক) বন্যাদুর্গতদের আপডেট জানিয়ে একটি পোস্ট করেছেন চমক। যেখানে দেখা যায়, গ্রামের অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছে সঙ্গে রয়েছে তার টিমের সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।

সেসব ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে এই অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘তোমার ভয় নেই মা, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি। ’ এইটা শুধুমাত্র একটা গান না, এইটা জাতিগতভাবে আমাদের পরিচয়। আমরা প্রতিবাদী আমরা বিপ্লবী আমরা হার না মানা নির্ভীক যোদ্ধা। ’’

এ অভিনেত্রী বন্যার ছোবল থেকে আমাদের দেশটাকে বাঁচিয়েও আনতে পারি উল্লেখ করে লেখেন, যেকোনো দুর্যোগ, হোক সেটা প্রাকৃতিক অথবা মানবসৃষ্ট আমরা সেটাকে বুক পেতে হাসিমুখে প্রতিহত করতে পারি। আমরা যেমন রাজপথে দুহাত মেলে বুকে গুলি নিতে পারি, তেমনি বন্যার ছোবল থেকে আমাদের দেশটাকে বাঁচিয়েও আনতে পারি ।

ক্যাপশনের শেষে চমকের ভাষ্য, পৃথিবীর যত বড়ো পরাশক্তিই হোক না কেন , আমাদের ভাসিয়ে দেওয়া উজাড় করে দেওয়া , নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া এত সহজ না! কারণ আমরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়তে জানি। তাই আপাতত চোখের সামনে অনেক গুলো হাসিমুখ দেখছি, যারা সারাদিন পানির মধ্যে যুদ্ধ করে, দুটো শুকনো টোস্ট আর গুড় খেয়েও প্রাণ খুলে হাসছে আর প্রস্তুতি নিচ্ছে কালকের যুদ্ধের জন্য। গানটি বার বার বুকে এসে বাঁধছে ‘তোমার ভয় নেই মা, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি। ’

চমকের এসব কাজের প্রশংসা করেছেন তার ভক্ত-অনুরাগী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। কমেন্ট বক্সে তাকে বাহবা জানাচ্ছেন অনেকেই।

এছাড়াও ফেনীর পর সোনাগাজী উপজেলার উদ্দেশ্যে সতর্ক বার্তা জানিয়ে চমক আরেকটি পোস্টে লেখেন, ফেনীর যত উপজেলা প্লাবিত হলো, তাদের অলমোস্ট ৮০ শতাংশ পানি নামবে মুহুরী নদী দিয়ে। এই মুহুরী নদীর প্রকল্পের ৪০ টা গেইট দিয়ে যে পরিমাণ পানি নামবে, তার থেকে কয়েকগুণ বেশি, দ্রুত সব পানির প্রবাহ সোনাগাজীর দিকে আসবে। পারলে দ্রুত সোনাগাজীতে, সবাই যত পারেন তত নৌকা এবং স্পীড বোটের ব্যবস্থা করেন। আর সকলে নিজের পরিচিত সকলকে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে এবং উঁচু দালানে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS