ভিডিও

কোলেস্টেরলের মাত্রা বোঝা যায় যেভাবে

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৪, ০৫:৪৪ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২৪, ০৫:৪৪ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

স্বাস্থ্যকথা ডেস্ক: অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে যে অসুখগুলো সবচেয়ে বেশি হয় তার মধ্যে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া অন্যতম। শরীরে কোলেস্টেরল থাকলেই যে বিপদ, এমন কিন্তু নয়। ভালো-খারাপ দুই ধরনের কোলেস্টেরলের মধ্যে ভালো কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। তবে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। 
সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, বিগত কয়েক বছরে হার্ট অ্যাটাকের গড় বয়স চল্লিশে নেমে এসেছে। সমস্যা হলো, যুবক-যুবতীদের মধ্যে অনেকেই হৃদরোগের আগাম লক্ষণ ধরতে পারছেন না। ফলে তাদের মধ্যে অনেকেই অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ায় এই সমস্যা বাড়ছে। আগাম ধরতে না পারলেই বিপদ।
অনেক সময় হৃদরোগ শনাক্ত করতেই সময় কেটে যায়। কোলেস্টেরলের আবার ভালো ও মন্দ দুই-ই আছে। মন্দ কোলেস্টেরলের ফাঁদে পড়লেই হার্টের মতিগতি বদলে যায়। বিগড়ে যায় তার ছন্দ। তাই কোলেস্টেরলকে বাগে আনাই দরকার। কিন্তু সমস্যাটা হল, কোলেস্টেরল বাড়ছে কি না, তা ধরা যায় না চট করে। পায়ের দিকে তাকালে অবশ্য কিছুটা সমাধান মেলে।  
ঘুম থেকে জাগার পর: রাতে ঘুমিয়ে সকালে উঠে দেখলেন পায়ের পাতা অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে গিয়েছে। পায়ে তো কোনও আঘাত লাগেনি। কী কারণে পা ফুলল, তা ধরতেই পারলেন না আপনি। অনেকে হয়তো ভাববেন শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গিয়েছে। আসলে কারণটা তা না-ও হতে পারে। পায়ের পাতা ফুলে যাওয়ার পাশাপাশি আনুষঙ্গিক আরও কিছু লক্ষণও দেখা দিতে থাকে।
পায়ের রক্তনালিতে জমে যায় কোলেস্টেরল। ফলে পায়ে ঠিক মতো রক্ত চলাচল বন্ধ হয়। পায়ে চিনচিনে ব্যথা হতে শুরু করে। সেই সঙ্গেই পা ও পায়ের পাতা অবশ হয়ে যায় অনেকের। আপনি হয়তো দেখলেন, কিছু ক্ষণ বসে থাকার পরে উঠে আর হাঁটতে পারছেন না। পা ও পায়ের পাতা একেবারে অবশ হয়ে গিয়েছে। চিমটি কাটলেও কোনও সাড় নেই। আবার একই জিনিস হতে পারে রাতে ঘুমোবারও সময়েও। দিনের পর দিন যদি এমন সমস্যা চলতে থাকে, তাহলে সেটি ভালো লক্ষণ নয়।
পায়ের পেশিতে টান ধরে হুটহাট: পায়ের পেশিতে টান ধরতে পারে যখন তখন। পায়ের পাতার নীচে জ্বালা ভাব হতে পারে। রক্তে কোলেস্টেরল বাড়লে পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন পায়ে টান ধরা, পায়ের আঙুল ফুলে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে থাকে।
পা ক্রমাগত ঠান্ডা হতে থাকে: রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে রাতের দিকে পা ক্রমাগত ঠান্ডা হতে থাকে। শীত হোক বা গরম বা বর্ষা, সব ঋতুতেই রাতের দিকে পা ঠান্ডা হয়ে এলে এবং এটি রোজ হতে থাকলে সাবধান হওয়া দরকার।
হাপাচ্ছেন অনেকে আজকাল: একটু হাঁটাচলা করলে বা একটু বেশি কাজ করলেই হাঁপিয়ে পড়ছেন। হাঁপিয়ে পড়ার অবশ্য আরও বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তাই খুব ভালো হয়, যদি দেরি না করে রক্তপরীক্ষা করিয়ে নেন।
রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে। পাশাপাশি রোজের জীবনযাপনেও কিছু বদল আনা দরকার। সম্ভব হলে ধূমপান ছেড়ে দিন। শরীরচর্চা করতে হবে নিয়মিত। বাইরের খাওয়া, বেশি তেলমশলা দেওয়া খাবার খেলে চলবে না। সবুজ শাকসবজি, ফল বেশি করে খেতে হবে। মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়াও কমাতে হবে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েট কেমন হবে, তা অবশ্যই পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নেবেন। 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS