ভিডিও

১৩ বছর বয়সে বিয়ে করে ভাইরাল কিশোর!

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৪:১৭ দুপুর
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৪:১৭ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বরের বয়স ১৩ বছর, সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। ১২ বছরের কনে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। পাকিস্তানের বাসিন্দা এই বর-কনের বিয়ের খবরে এখন সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, কিশোরটি তার পরিবারকে আল্টিমেটাম দিয়েছিল। সে শর্ত দিয়ে বলেছিল বিয়ে করলেই পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। এরপর দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পরিবারের লোকেদের উপস্থিতিতেই বাগদান সেরেছে দু’জনে। বর-কনের বাবা-মায়েরাও তাদের ছেলে-মেয়ের আংটি বদল হতে দেখে বেশ খুশি। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নেটিজনদের সমালোচনার জবাবে ওই কিশোর-কিশোরী সাংবাদিকদের জানান, লোকেরা তাদের বিয়ে নিয়ে কী বলছে, তা নিয়ে তারা ভাবতে নারাজ। বাগদানের পরও তারা নিয়ম করে স্কুলে যাবে। দু’জনের জন্যই পড়াশোনা শেষ করা সবচেয়ে বেশি জরুরি বলে জানায় তারা।

পরিবারের লোকজন জানান, ছেলেটি মেয়েটিকে বেশকিছু দিন ধরেই পছন্দ করতো। সে বাবাকে বলে, তার বিয়ে না দিলে সে আর স্কুলে যাবে না। ছেলের আবদার ফেলতে পারেননি বাবা। ধুমধাম করে বাগদানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি।

মেয়ের মা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মেয়ের বাগদানে তিনি বেশ খুশি। আমারও ১৬ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল, তাই ওদের বিয়ে নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানে বিবাহের সর্বনিম্ন বয়স পুরুষদের জন্য ১৮ বছর আর নারীদের ১৬ বছর। যদিও সিন্ধু প্রদেশ ২০১৩ সালে নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ করে একটি আইন পাস হয়। তবে দেশব্যাপী এই পরিবর্তন কার্যকর করা হয়নি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS