ভিডিও

গাজায় দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০২:৫৬ দুপুর
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০২:৫৬ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। সেখানে ইসরায়েলি তাণ্ডব আরও বাড়ছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত এবং আর তিনজন আহত হয়েছে। ফারা শরণার্থী শিবিরেও তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। খবর : আল জাজিরা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। সেখানে সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৯ হাজার ৭৮২ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭০ হাজার ৪৩ জন। এদিকে ফিলিস্তিনের ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ পদত্যাগ করেছেন। সোমবার প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ সময় মোহাম্মদ শাতায়েহ বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট (মাহমুদ আব্বাস) বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসন এবং পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে সহিংসতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমি এ পদক্ষেপ নিয়েছি। তার এই পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে কার্যত পুরো মন্ত্রিসভার পতন ঘটলো। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গাজা ভূখণ্ডের পরিস্থিতি এখন আর আগের মতো নেই। নতুন একটি বাস্তবতা সৃষ্টি হয়েছে আর সেই বাস্তবতায় ফিলিস্তিনের অখণ্ডতা ও ঐক্য ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন নতুন সরকার। তিনি বলেন, আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ পরিবর্তীত অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং এমন একটি সরকারকে ক্ষমতায় বসানো, যে সরকার পুরো ফিলিস্তিনের ঐক্য দৃঢ় করতে পারবে। আমার পদত্যাগের মূল কারণ এটাই।

৩০ বছর আগে অসলো শান্তি চুক্তির আওতায় ফিলিস্তিনের সরকার কাঠামো তৈরি হয়েছিল, যার অধীনে ছিল পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেম। এই তিন অঞ্চল একসময় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক দল ফাতাহ এবং অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর জোট ‘প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটির’ অধীনে ছিল, কিন্তু ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতে চলে যায়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS