ভিডিও

‘কে আমাকে বাবা বলে ডাকবে?’ তিন মেয়েকে হারিয়ে এক বাবার আহাজারি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৫:০২ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৫:০২ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বোমা হামলার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন আহমাদ আল-গুফেরি। তবে ওই বোমা হামলায় ধ্বংস হয়েছে তার পুরো পরিবার। গাজা শহরে বোমা হামলায় যখন গুফেরির ১০৩ আত্মীয় নিহত হয়, তখন বাড়ি থেকে ৫০ মাইল দূরে পশ্চিম তীরে আটকা পড়েছিলেন তিনি।

৭ অক্টোবর ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের সময় তেল আবিবে একটি আবাসন নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করছিলেন গুফেরি। যুদ্ধ শুরুর কারণে তিনি আর নিজের পরিবারের সদস্যদের কাছে ফিরতে পারেননি। স্ত্রী শিরিনের সঙ্গে সর্বশেষ ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কথা বলেছিলেন গুফেরি। গুফেরি বলেন, ‘সে জানত যে সে মারা যাবে। সে আমাকে বলেছিলন, আমার সঙ্গে হয়তো সে খারাপ কিছু করেছে তার জন্য তাকে ক্ষমা করতে। আমি তাকে বলেছিলাম, এটি বলার দরকার নেই এবং এটি ছিল আমাদের মধ্যে শেষ কল।’

ওই দিন সন্ধ্যায় তার মামার বাড়িতে বোমা হামলায় গুফেরির স্ত্রী এবং তার তিন কন্যা - তালা, লানা এবং নাজলা নিহত হন। বোমা হামলায় গুফেরির মা, তার চার ভাই এবং তাদের পরিবার, সেইসাথে তার কয়েক ডজন খালা, চাচা এবং চাচাত ভাই নিহত হন। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা শতাধিক। দুই মাস পার হয়ে গেলেও ধ্বংসস্তূপের নিচে তাদের কিছু লাশ আটকে আছে। গুফেরি বলেন, ‘আমার মেয়েরা আমার কাছে ছোট পাখি। আমার মনে হচ্ছে আমি স্বপ্নের মধ্যে আছি। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমাদের কী হয়েছে।’

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন অসংখ্য ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারে পৌঁছে গেছে। পরিবারের সদস্যদের নিহতের খবরে গুফেরি এতোটা ভেঙে পড়েছেন যে, তিনি আর নিজের শহরে ফিরে যাননি। অবশ্য তিনি এখনও মাঝে মাঝে গাজায় তার বেঁচে থাকা আত্মীয়দের ফোন করেন।

গুফেরি বলেন, ‘গাজায় আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। আমি কার জন্য ফিরে যাব? কে আমাকে বাবা বলে ডাকবে? কে আমাকে প্রিয়তম বলে ডাকবে? আমার স্ত্রী আমাকে বলতেন আমি তার জীবন ছিলাম। এখন আমাকে কে বলবে?’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS