ভিডিও

ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ২৯ ফিলিস্তিনি দুটি পৃথক ইসরায়েলি হামলায় নিহত

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৪, ১১:১৮ দুপুর
আপডেট: মার্চ ১৫, ২০২৪, ০৩:৫৮ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

ত্রান নিতে গিয়ে গাজা উপত্যকায় দুটি পৃথক ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ ঘটনা বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা উভয় ঘটনাই খতিয়ে দেখছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস শাসিত উপত্যকার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য গাজা উপত্যকার আল-নুসিরাত ক্যাম্পে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে।


 বিমান হামলায় সেখানে আটজন নিহত হয়েছেন। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর গাজার গোলচত্বরে, সেখানে ত্রাণবাহী ট্রাকের অপেক্ষায় থাকা ভিড়ের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে অন্তত ২১ জন নিহত এবং ১৫০ জনেরও বেশি আহত হয়।
গাজা ২.৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার বেশির ভাগ মানুষ সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ত্রাণ বিতরণের সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা শুরু হচ্ছে, কারণ গাজাবাসী মারাত্মক ক্ষুধায় মরিয়া হয়ে উঠেছে।


এর আগে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে গত বুধবার ত্রাণ সংগ্রহকারীদের ভিড়ে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত এবং ২২ জন আহত হন। গাজা সিটির কুয়েত চক্কর এলাকায় গতকাল বহু মানুষ ত্রাণবাহী ট্রাকের অপেক্ষায় ভিড় করে। সেখানে তাঁরা হামলার শিকার হন। এদিকে গত বুধবার মিসর সীমান্তসংলগ্ন শহর রাফাহতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডাব্লিওএর একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে বিমান হামলা হয়।
ইউএনআরডাব্লিওএ জানায়, এই হামলায় তাদের এক কর্মীও মারা গেছেন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় ত্রাণ সংগ্রহকারী ক্ষুধার্ত লোকজনের ভিড়ে ইসরায়েলি সেনাদের প্রাণঘাতী হামলা চালানোর মাত্রা বেড়েছে। গত সোমবার রাতেও গাজা সিটির কুয়েত চক্কর এলাকায়ই ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা লোকজনের ওপর হামলা চালায়। ওই ঘটনায় অন্তত ১১ জন নিহত হন। ইসরায়েলি সেনাদের এমন হামলার মুখে গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করা এখন একটি বিপজ্জনক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ত্রাণ সংগ্রহের সময় বারবার হামলার ঘটনা ঘটায় গাজার কুয়েত চক্কর এখন ‘মৃত্যুফাঁদ’ নামে পরিচিত হয়ে উঠছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়,  ইসরায়েলি বাহিনী ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে, তারাও ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিল। 
ইসরায়েলি বিমান এবং স্থল বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণের রাফাহ, যেখানে এক মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ইসরায়েলি নির্বিচার হামলা আর বিধি-নিষেধের কারণে গাজায় খাদ্য, সুপেয় পানি, ওষুধসহ জরুরি প্রয়োজনীয় ত্রাণের তীব্র সংকট চলছে। অনেক এলাকায় দুর্ভিক্ষের প্রকটতা দেখা দিচ্ছে। অনাহারে দিন পার করছে অসহায় মানুষ। অপুষ্টি আর পানিশূন্যতায় শিশুদের মৃত্যুর খবর আসছে।

এই রমজান মাসেও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালানো থেকে নিবৃত্ত হয়নি। যুদ্ধ আর তীব্র খাদ্যসংকটের মধ্যেই এবার রোজা পালন শুরু করেছে গাজাবাসী।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS