ভিডিও

স্বামীকে মারধর ও সিগারেটের ছ্যাঁকা দিত স্ত্রী

প্রকাশিত: মে ০৮, ২০২৪, ০১:০৮ দুপুর
আপডেট: মে ০৮, ২০২৪, ০১:০৮ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিজনোর এলাকার। বিয়ের পরই স্বামীকে নিয়ে আলাদা হয়ে যায় স্ত্রী। আলাদা হওয়ার পর থেকেই স্ত্রীর হাতে চরম নির্যাতনের শিকার হন ওই স্বামী। তার হাত-পা বেঁধে, শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়িয়ে দেয় তার স্ত্রী। এমনকী, সিগারেট দিয়ে স্বামীর যৌনাঙ্গে ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগও উঠে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হলে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বামীকে বেঁধে সিগারেট দিয়ে গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন করার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের বিজনোর পুলিশ ২৮ বছর বয়সী এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। এমনকি তিনি তার স্বামীকে শ্বাসরোধ করারও চেষ্টা করেছিল বলে গত রোববার পুলিশ জানিয়েছে। এই ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়েছে। এই ভিডিও ফুটেজে তাকে তার স্বামীকে নির্যাতন করতে এবং তার গোপনাঙ্গে আঘাত করতে দেখা গেছে। ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গ্রেপ্তারকৃত ওই স্ত্রীর নাম মেহের জাহান। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত শনিবার নির্যাতিত ওই ব্যক্তির কাছ থেকে সেওহারা জেলা পুলিশ একটি অভিযোগ পায়। অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ রোববার অভিযুক্ত মেহের জাহানকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী ওই স্বামীর নাম মান্নান জাইদি। তার অভিযোগ, গত ২৯ এপ্রিল স্ত্রী মেহের জাহান দুধে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তাকে পান করতে বাধ্য করে। পরে তার স্ত্রী তার হাত-পা বেঁধে, সিগারেট দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়িয়ে দেয় এবং গোপনাঙ্গ কাটার চেষ্টা করে বলেও জানান তিনি।

টাইমস নাউ বলছে, গত বছরের ১৭ নভেম্বর সেওহারা থানা এলাকার সাফিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা মেহেরকে বিয়ে করেন মান্নান। বিয়ের পর সেওহারার মহল্লা হাটা শহরে স্ত্রীর কথা মতো পরিবার থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন তিনি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিয়ের মাত্র কয়েকদিন পর তিনি দেখতে পান যে তার স্ত্রী মদ্যপ এবং ধূমপান করেন। তিনি তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন বলেও দাবি করেন। প্রতিবাদ করলে মেহের জাহান তাকে হত্যার হুমকি দেন। স্বামীর অভিযোগ, তার স্ত্রীও তাকে মিথ্যা অভিযোগ এনে জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়। আর এরপর স্বামী পুলিশের কাছে গিয়ে প্রমাণ হিসেবে সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়ার পর পুলিশ তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS