ভিডিও

নতুন ভয়ংকর পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া

প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৪, ০৯:৪১ রাত
আপডেট: মে ১৫, ২০২৪, ০৯:৪১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

নিজের পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডারের নতুন অস্ত্র প্রদর্শন করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। ‘দ্য স্কেপটর’ খেতাব পাওয়া এই আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল গোপন সাবমেরিন থেকে ছোড়া সম্ভব। ১২ মিটার লম্বা এই ক্ষেপণাস্ত্র ৮ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। সবচেয়ে ভয়ংকর হচ্ছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ১০টি আলাদা আলাদা গাইডেড নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড রয়েছে, যার সাহায্যে একাধিক টার্গেটে হামলা করা সম্ভব।

ব্রিটিশ সংবাদ দ্য সান জানিয়েছে, রুশ সেনাবাহিনী ওই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে। ইউরোপে পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হওয়ার পর পুতিন যে মহড়া শুরু করেছেন, তাতে এই প্রথমবার অ্যাকশনে দেখা গেল এই মিসাইলকে। রাশিয়ায় এই মিসাইল বুলাভা নামে পরিচিত। রুশ সেনাবাহিনী ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পানির নিচে বড় বিস্ফোরণ হচ্ছে। আর কালো ধোঁয়াও বের হচ্ছে।

মেঘের আড়ালে হারিয়ে যাওয়ার আগে খুব দ্রুতগতিতে আকাশের দিকে ওঠে যায় আরএসএম-৫৬ বুলাভা। এই মিসাইলকে রাশিয়ার অস্ত্রভাণ্ডারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ মনে করা হয়। এর আগে নর্দার্ন এবং প্যাসিফিক ফ্লিটের নৌ কর্মকর্তাদের সাতটি বোরেই-ক্লাস সাবমেরিন মহড়ায় মোতায়েন করতে দেখা যায়। ধারণা করা হয়, ওয়ারহেড বহনের জন্য ওই সাবমেরিনগুলো মোতায়েন করা হয়েছিল। সাবমেরিনগুলোতে ১৬টি বুলাভা মিসাইল ছিল। সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি ওই ফুটেজে ছুড়তে দেখা যায়।

গেল নভেম্বরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো বুলাভা মিসাইল ছুড়ে সাফল্য পাওয়ার কথা জানায়। তখন মস্কো জানিয়েছিল, শ্বেত সাগরে পানির নিচ থেকে রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলে ছোড়া হয়েছিল বুলাভা। সেটি কয়েক হাজার মাইল দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। ১৯৯০-র দশকে আন্তঃমহাদেশীয় এই ব্যালিস্টিক মিসাইল নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল।

 
 

ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমাদের নাক গলানো নিয়ে ইউরোপে পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায় কিছু দিন আগে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর নির্দেশ দেন পুতিন। ক্রেমলিন থেকে তখন কড়া ভাষায় পশ্চিমা নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে ‘বিশ্বজুড়ে বিপর্যয়’ নেমে আসবে।

রাশিয়ার হাতে বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। প্রায় ৬ হাজার পরমাণু অস্ত্র থাকা রাশিয়ার কাছাকাছি রয়েছে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে, তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বুলাভার পরীক্ষা। পুতিন যে যুদ্ধ জয়ে যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত এই পরীক্ষা যেন তারই নমুনা, এমনটা বিশ্বাস সামরিক বিশেষজ্ঞদের।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS