ভিডিও

মোদির মন্ত্রিসভায় নেই কোনো মুসলিম

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৪, ০৩:২১ দুপুর
আপডেট: জুন ১১, ২০২৪, ১০:৩২ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টানা তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। রোববার সন্ধ্যায় আরও শপথ নেন ৭২ সদস্যের মন্ত্রী পরিষদ। নতুন এই মন্ত্রীসভায় স্থান পাননি কোন মুসলিম সদস্য।

 অথচ বিজেপি’র নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হয়ে মোদি বলেছিলেন, জোটের আদর্শ ও নীতি হলো ‘সর্বপন্থা সমভাব’, যার অর্থ সব ধর্মকে এক ভাবা। ভেদাভেদ না করা। সবাইকে নিয়ে চলা। তিনি বলেছিলেন, সেই নীতিতে বিশ্বাস রেখেই এই জোট সরকার চলবে। আগামী দিনে এগিয়ে যাবে।

গত শুক্রবার পুরোনো সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে দেওয়া ওই আশ্বাসবাণীর দু’দিন পরেই তা ভুল প্রমাণিত হলো। মোটির মন্ত্রীসভায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাঁচজন মন্ত্রী থাকলেও জোটের কোনো শরিক কোনো মুসলিমকে মন্ত্রী করেনি তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কোনো শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান এই প্রথম মুসলিম ছাড়াই হলো।

 ২০১৪ সালে একক ক্ষমতায় লোকসভায় জেতার পর মোদি মন্ত্রিসভায় শপথ নিয়েছিলেন নাজমা হেপতুল্লাহ। মোদি তাকে সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালেও মন্ত্রিসভাও মুসলিমহীন ছিল না। বিজেপি’র রাজ্যসভার সদস্য মুস্তাক আব্বাস নাকভি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে পেয়েছিলেন সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। মুস্তাক আব্বাস নাকভির রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হয় ২০২২ সালের ৬ জুলাই। তারপর থেকে বিজেপি তাকে আর সদস্য করেনি। সেই থেকে মোদির মন্ত্রিসভার দরজাও মুসলিমদের জন্য বন্ধ।

মোদির বিজেপিতে মুসলিমদের কোন স্থান নেই তা সবার জানা। এবারের নির্বাচনি প্রচারের জনসভায় কংগ্রেস ও মুসলিমদের তিনি এক কাঁতারে ফেলে বক্তব্য দিয়েছেন। কংগ্রেস অন্যদের সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে, বলে অপপ্রচার চালিয়েছেন। এসব কথা তিনি যখন বলেছিলেন তখন তার ধারণা ছিল না, তার দল নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পাবে না। সরকার গঠন করতে তিনি ‘সর্বপন্থা সমভাব’ যে কথা বলেছেন তা ফাঁকা বুলি। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS