ভিডিও

শত বছর বয়সে প্রেম, অতঃপর...

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৪, ০৮:২০ রাত
আপডেট: জুন ১০, ২০২৪, ০৮:২০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাত্রের বয়স ১০০, পাত্রী ৯৬। প্রেমের কোনো বয়স হয় না। গল্প-উপন্যাসে কিংবা বাস্তবে এর আগে বহুবার তা প্রমাণিত হয়েছে। ফের একবার সে কথা মনে করিয়ে দিলো নিউইয়র্কের বাসিন্দা হ্যারোল্ড টেরেন্স এবং জেনি শার্লিনের প্রেমকাহিনি। প্রেমের পর এবার বিয়ে করলেন দুজনে। শনিবার ফ্রান্সের নরমন্ডির ক্যারেন্টান-লেস-মারাইস টাউন হলে নবদম্পতি তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান উদযাপন করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের স্মরণে ডি-ডে বার্ষিকীতে তারা বিয়ে সারেন। ফ্লোরিডার বাসিন্দা টেরেন্স ও সয়েরলিনের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। উৎফুল্ল সয়েরলিন বলেন, জেনে রাখুন ভালবাসা কেবল তরুণ-তরুণীদের জন্য নয়, এ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা এখন প্রজাপতিতে পরিণত হয়েছি বলে মনে হচ্ছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টেরেন্স মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের পর তিনি তিনি থেলমা নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। থেলমা ২০১৮ সালে মারা যান। পরে ২০২১ সালে সয়েরলিনের সঙ্গে টেরেন্সের পরিচয় হয়। পড়াশোনা চলাকালীন বিমানবাহিনীতে যোগ দেন হ্যারোল্ড। হ্যারল্ডের বয়স তখন ২০। চাকরি সূত্রে পাড়ি দেন ইংল্যান্ড। কয়েক বছর সেখানেই ছিলেন। হঠাৎই ইংল্যান্ড ছেড়ে যাযাবর হয়ে যান। ইউক্রেন, বাগদাদ, তেহরানসহ বিভিন্ন দেশে ঘুরে কাজ করতে থাকেন। বেশ কয়েক বছর এভাবে চলার পর জীবনে থিতু হতে চান তিনি। তাই আবার আমেরিকায় ফিরে আসেন। নিজের মাটিতে ফিরে শুরু করেন নতুন জীবন। দীর্ঘ দিনের বন্ধু থেলমার সাথে সংসার পাতেন। বছর দুয়েকের মধ্যে তাদের ঘরে আসে দুই সন্তান। স্ত্রী, সন্তানকে ছেড়ে কাজে ফেরার ইচ্ছা ছিল না হ্যারোল্ডের।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS