ভিডিও

গাজায় ৫০ হাজার শিশুর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন: জাতিসংঘ

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৪, ০২:১৭ দুপুর
আপডেট: জুন ১৭, ২০২৪, ১২:৩০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ৫০ হাজারের বেশি শিশুর তীব্র অপুষ্টির জন্য অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজন। ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডাব্লিউএ) শনিবার (১৫ জুন) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটি শনিবার বলেছে, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বিধিনিষেধ থাকায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি অনাহারে আছে। তাদের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে ইউএনআরডব্লিউএ।


কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পরিস্থিতি বিপর্যয়কর।
ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজায় ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা কঠিন। তিনি আলজাজিরাকে বলেন, যেকোনো যুদ্ধের চেয়ে এই যুদ্ধে বেশি ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছে।

এল্ডার বুধবার বলেছেন, ১০ হাজার শিশুর জন্য পুষ্টি ও চিকিৎসা সরবরাহে এক ট্রাক সহায়তা নেয় ইউনিসেফের একটি মিশন।


এতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ অনুমোদনও ছিল। কিন্তু এই ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তারপর সেই শিশুরা আর সাহায্য পায়নি।
গত মাসের শুরুর দিকে রাফা শহরের একটি প্রধান ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এর ফলে দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা বেড়ে গেছে।
ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার মূল্যায়ন করতে এই সপ্তাহে গাজায় দুই দিন ছিলেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কার্ল স্কাউ। পরিস্থিতি দেখে তিনি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি আমি কখনও দেখিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দক্ষিণ গাজার পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে। দক্ষিণ গাজার ১০ লাখ মানুষ গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে সমুদ্র সৈকতে বিশুদ্ধ পানি বা স্যানিটেশন ছাড়া আটকা পড়ে আছে।

আমরা খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’
কয়েক মাস ধরে ডানপন্থী ইসরায়েলিরা গাজায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। এই অঞ্চলে প্রয়োজনীয় সহায়তার প্রবাহকে থামিয়ে দিয়েছে তারা।

গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়ায় হিংসাত্মক চরমপন্থী ইসরায়েলি গোষ্ঠীর ওপর শুক্রবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জি৭ জোটের নেতারাও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে বিনা বাধায় কাজ করতে দেওয়ার কথা বলেছে।

ইউএনআরডব্লিউএ জানুয়ারি থেকে সঙ্কটে আছে। কারণ ইউএনআরডাব্লিউএর কর্মীদের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিল ইসরায়েল। তেল আবিবের এই দাবির কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশকে হঠাৎ করেই তহবিল স্থগিত করেছিল। যেটি ত্রাণ সহায়তা প্রদানের বিষয়টিকে হুমকির মধ্যে ফেলেছিল।
সূত্র : আলজাজিরা



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS