ভিডিও

ছেলের মৃত্যু চেয়ে আদালতে বাবা! আবেদন খারিজ

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৪, ০৮:১০ রাত
আপডেট: জুলাই ১১, ২০২৪, ০৮:১০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ছেলের অসহনীয় যন্ত্রণা, আর্থিক অসঙ্গতি ও মানসিক বিপর্যয়ে রয়েছেন বৃদ্ধ এক দম্পতি। এক দুর্ঘটনার পর কলেজছাত্র ছেলে হরিশ কোমায় রয়েছেন। দীর্ঘ এই সময়ে ছেলের চিকিৎসায় সব হারিয়েছে এই দম্পতি। শেষ পর্যন্ত অসহায় বাবা ছেলের মৃত্যু চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্ট।

জানা গেছে, হরিশ মোহালির চন্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। ২০১৩ সালে কলেজের চার তলা থেকে পড়ে যান তিনি। প্রাণরক্ষা হলেও শরীরের প্রায় সমস্ত অঙ্গই অকেজো হয়ে যায়। মাথার আঘাত ছিল অত্যন্ত গুরুতর। দুর্ঘটনা নিয়ে ‘রহস্য’ রয়েছে বলেই পরিবারের দাবি। থানায় মামলাও করেন হরিশের বাবা রানা। ছেলের চিকিৎসার জন্য একের পর এক বড় হাসপাতাল ঘুরেছেন। দীর্ঘ দিন চন্ডীগড়ের পিজিআইতে হরিশের চিকিৎসা হয়েছে। তার পর এমস, রামমনোহর লোহিয়া, লোকনায়ক এবং দিল্লির ফর্টিস হাসপাতালে দেখানো হয়েছে।

কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। ১১ বছরের বেশি সময় বিছানা থেকে ওঠেননি হরিশ। প্রতি দিন ছেলেকে একটু একটু করে বিছানার সঙ্গে মিশে যেতে দেখে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হরিশের ৬২ বছরের বাবা রানা এবং মা নির্মলা দেবী। তাদের আবেদন, মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে ছেলেকে প্যাসিভ ইউথানাসিয়া (নিষ্কৃতি-মৃত্যু) দেওয়া হোক। আদালতের কাছে রানা জানান, যখন বাবা-মা তাদের সন্তানের মৃত্যু কামনা করে, তখন তা নিষ্ঠুরতা নয়। সেটা আসলে ভালবাসার অভিশাপ। সেই ভালবাসার টানে ছেলের জীবন শেষ করে দেওয়ার অনুমতি চাইছেন আদালতের কাছে। সন্তানের শারীরিক কষ্টের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের মানসিক এবং আর্থিক অবস্থার কথা হাই কোর্টে তুলে ধরেছেন রানা।

তিনি বলেন, ছেলের ২৪ ঘণ্টা দেখাশোনার জন্য এক জন নার্স রাখতে হয়। মাসে তার পারিশ্রমিক ২৭ হাজার টাকা। আর আমাদের সবার মাসিক উপার্জন ২৮ হাজার টাকা।  বেসরকারি চাকুরে রানা জানান, এখানেই শেষ নয়। ছেলের চিকিৎসার জন্য এক জন ফিজিওথেরাপিস্ট রয়েছেন। তাকেও ১৪-১৫ হাজার টাকা দিতে হয়। বছরের পর বছর সন্তান এবং তাদের কষ্ট বেড়ে চলেছে, ব্যয়বৃদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু, ছেলের ভাল হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন না। চিকিৎসকেরাও কোনও আশার কথা শোনাতে পারেননি। রানা বলেন, হরিশের চিকিৎসা, ওষুধপত্রের জন্য যে ব্যয়ভার, তা বহন করতে পারছি না। গত ৮ জুলাই আদালত রানার আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলেছেন, ভারতে আইন ইচ্ছাকৃত মৃত্যুর অনুমতি নেই।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS