ভিডিও

সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত চায় জাতিসংঘ

প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৪, ১২:২৪ দুপুর
আপডেট: জুলাই ২৬, ২০২৪, ১২:২৪ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

বাংলাদেশে অতি সাম্প্রতিককালের সহিংসতার সকল ঘটনার স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে তদন্ত করা প্রয়োজন। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গত বুধবার এমন মন্তব্য করেন। 
 
এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টার্ক বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) জেনেভায় এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের অতি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংসতার সকল ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশের জন্য দেশটির সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে যাতে দেশটির আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করে সেই আহ্বান জানাচ্ছি।
 
বাংলাদেশের অতি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের কোনো পর্যবেক্ষণ আছে কিনা, জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক এমন প্রশ্ন করলে মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, আমি মনে করি, বাংলাদেশে যা ঘটছে, আমরা যা দেখেছি, গণগ্রেপ্তার, হত্যাকাণ্ড, সেসব ব্যাপারে আমরা আমাদের উদ্বেগ অত্যন্ত স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছি। মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করতে পারার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কর্তৃপক্ষের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। এই অধিকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তির অর্ন্তভূক্ত। সহিংসতার সব ঘটনা একটি স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য পদ্ধতিতে তদন্ত করা উচিত। দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার, তবে সংলাপের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টার্ক বৃহস্পতিবার জেনেভায় এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের অতি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংসতার সকল ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশের জন্য দেশটির সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে যাতে দেশটির আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করে সেই আহ্বান জানাচ্ছি।
 
বিবৃতিতে ভলকার টার্ক বলেন, সর্বশেষ পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনায় ১৭০ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং কয়েকশত আহত হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই হাসপাতালের পরিচর্যা নেয়নি এবং অনেকে নিখোজ রয়েছে। দুইজন সাংবাদিক নিহত হয়েছে। দেশটির বিরোধীদলীয় নেতারাসহ ১০০ মানুষ গ্রেফতার হয়েছে। এসব ঘটনায় কতজন মারা গেছে, কতজন আহত, কতজনকে গ্রফতার করা হয়েছে এবং কতজনকে শাজা দেওয়া হচ্ছে এসব তথ্য বাংলাদেশ সরকারের জানান উচিত।
 
ভলকার টার্ক বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী অনতিবিলম্বে সারাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার চালু করে দেওয়া, যাতে সাধারণ মানুষসহ সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। জনগনের মধ্যে পুনরায় আস্থা ও বিশ্বাসের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এই সময়ে সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS