আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) শপথ নেবেন ইরানের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে ওই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। খবর রয়টার্সের।

গাজায় ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসন ও মধ্যপ্রাচ্যের চরম অস্থিতিশীলতার মধ্যে চলতি মাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ভোটে জয় লাভ করেন মধ্যপন্থি হিসেবে পরিচিত মাসুদ পেজেশকিয়ান।

রোববার (২৮ জুলাই) তাকে দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিয়েছেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। অনুষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।

পেজেশকিয়ানকে অনুমোদন দেয়ার পর দখলদার ইসরাইলকে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে খামেনি বলেন, ইসরাইল কোনো দেশ নয়। এটা একটি অপরাধী গোষ্ঠী, খুনিদের আশ্রয়দাতা ও সন্ত্রাসী বাহিনী। গাজায় ইসরাইলকে প্রতিরোধের জন্য ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রশংসা করেন খামেনি।

গত মে মাসে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিনি কট্টরপন্থি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। খামেনির উত্তরসূরী হিসেবেও মনে করা হতো তাকে।

ইরানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সর্বোচ্চ নেতাই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। তাই মধ্যপ্রাচ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রতি তেহরানের সমর্থনসহ বিভিন্ন নীতিতে পেজেশকিয়ান বড় কোনো পরিবর্তন আনতে পারবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

এছাড়া, ইরানের আঞ্চলিক নীতি নির্ধারণে জড়িত থাকে প্রভাবশালী রেভল্যুশনারি গার্ডস। তারা শুধু খামেনির কাছেই জবাবদিহি করে থাকে।
তবে ইরানে অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে ধর্মীয় নেতাদের নিয়ন্ত্রিত শাসনব্যবস্থা নিয়ে জন অসন্তোষ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে মাসুদ পেজেশকিয়ানের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক লক্ষ্য হবে, তেহরানের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কাটানো। ২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর ওই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ওয়াশিংটন।