ভিডিও

ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে গাজার পূর্ব খান ইউনিস

প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৪, ০৮:১৭ রাত
আপডেট: জুলাই ৩০, ২০২৪, ০৮:১৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ধ্বংসস্তুপ ও ‘বসবাসের অযোগ্য’ অবস্থায় ফেলে গাজার পূর্ব খান ইউনিস থেকে ইসরাইলি বাহিনী চলে গেছে। 
মঙ্গলবার ( ৩০ জুলাই) নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরে এসে বলে দেখতে পান ফিলিস্তিনিরা।
সপ্তাহব্যাপী আগ্রাসন শেষ করার পর খান ইউনিস ছেড়েছে ইসরাইলি বাহিনী। তবে এ বিষয়ে তারা কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।

হামাস পরিচালিত গাজা মিডিয়া অফিস জানিয়েছে খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে ইসরাইলের আট দিনব্যাপী অভিযানে ২৫৫ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। আরও অন্তত ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। 

এর আগে হামাসকে ধ্বংস করতে গাজার দক্ষিণের শহর খান ইউনিসে আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইল। ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে সপ্তাহব্যাপী অভিযানে ১৫০ জনেরও বেশি ‘ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীকে’ হত্যা করা হয়েছে। জঙ্গি সুড়ঙ্গ ধ্বংস করেছে এবং বিপুল পরিমান অস্ত্র জব্দ করেছে তারা। 

ইসরাইলি বাহিনী চলে যাওয়ার পর, ফিলিস্তিনিরা পায়ে হেঁটে এবং গাধার গাড়িতে তাদের জিনিসপত্র নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। তাদের অনেকেরই বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
 
একজন ফিলিস্তিনি ইতিমাদ আল-মাসরি যিনি পাঁচ কিলোমিটার পথ হেঁটে ফিরেছেন তিনি জানান, ‘আমি ফিরে এসেছি এবং আমার ঈশ্বরে বিশ্বাস আছে। আমি জানি না আমরা বাঁচব না মরব, তবে ফিরে এসেছি শুধু স্বদেশের জন্য। এই দুর্ভোগ সত্ত্বেও আমরা ধৈর্য ধরেছি এবং ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখেছি।’

অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন তারা ইসরাইলি আগ্রাসনের মুখে কয়েক দফা বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হয়েছেন।
 
ওয়ালিদ আবু নাসাইরা বলেন, ‘আমরা আশা করি একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে এবং সব শান্ত হবে। আশা করি তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাজ করবে যাতে আমরা শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে বাস করতে পারি। 
 

যুদ্ধের দশ মাসে প্রায় পুরো গাজা উপত্যকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এছাড়া গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এমন কয়েকটি এলাকায় নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে যেখানে তারা আগেই হামাসকে নির্মূল করার দাবি করেছিল। হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘর খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলের হামলায় ৩৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS