ভিডিও

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুরের সাবেক পৌর মেয়র কারাগারে

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৪, ০৮:৩৩ রাত
আপডেট: মে ১৩, ২০২৪, ০৮:৩৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুরের সাবেক পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

সোমবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আসসামছ জগলুল হোসেন এই নির্দেশ দেন।

শেখ মাহতাব আলী এর আগে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান।

দুপুরের পর শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আসামির আইনজীবী হিসাবে জামিন শুনানিতে অংশ নেন শাহীনুর ইসলাম অনি।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল এই মামলায় সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের ভাই মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় এই আদালত।

গত বছর ২৫ জুন এই মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। সম্পূরক অভিযোগপত্রে নতুন ৩৭ জন আসামিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগের অভিযোগপত্রে ১০ জন আসামি ছিলেন।

গত বছর ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন।

 

আসামির মধ্যে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমানসহ

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী রয়েছেন।

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২২ সালের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এসএম মিরাজ আল মাহমুদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল।

এছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তারা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তারা। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।

পরে এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য নির্ধারিত তারিখে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহমুদ হাসান জাহাঙ্গীর একটি দরখাস্ত দিয়ে আদালতকে জানান, এই মামলায় ৬ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে অর্থ পাচারের দায় স্বীকার করেছেন।

কিন্তু স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামিদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এই অবস্থায় আদালত শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেয়। অধিকতর তদন্ত শেষে আরও ৩৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত সম্পূরক অভিযোগ দেয় সিআইডি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS