ভিডিও

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে ভোগান্তি, বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৪, ০৬:০৩ বিকাল
আপডেট: জুন ১৩, ২০২৪, ১২:১৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সারা দেশে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তির অভিযোগ তদন্তে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিষয়টি এক মাসের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে দায়ের করা রিটে সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি মো. মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাইফুল্লাহ মামুন, এ এম জামিউল হক ফয়সাল ও আব্দুল্লাহ আল হাদী। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কামরুল হাসান রিগান ও মো. জাকির হায়দার।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ জুন) বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার নিয়ে অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। তবে আজ বুধবার একই রিটে নতুন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা, স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জের রিফান্ড, জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নীতি সংস্কার করার দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, বাংলাদেশ রুর‌্যাল ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, ডেসকো, ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি ও ডিপিডিসির কর্তৃপক্ষকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সাল, কামরুল হাসান রিগ্যান ও জাকির হায়দারের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হাদী এ নোটিশ পাঠান।

ওই নোটিশে বলা হয়, প্রিপেইড মিটার চালু হওয়া সত্ত্বেও ভোক্তারা অতিরিক্ত চার্জ, গোপন চার্জ এবং স্বচ্ছতার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সমস্যাগুলো ব্যাপক অসন্তোষ ও আর্থিক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায়, জরুরি ভিত্তিতে বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা, স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জের রিফান্ড, জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নীতি সংস্কার প্রয়োজন।

আইনি নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে প্রিপেইড মিটার চালু করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সব বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীকে এর আওতায় আনা হবে বলে ঘোষণা রয়েছে। কিন্তু এরপরও ভোক্তারা অতিরিক্ত চার্জ, গোপন চার্জ এবং স্বচ্ছতার অভাবসহ নানাভাবে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।

তাই ২৬ মে'র মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোটিশে অনুরোধ জানানো হয়। এর ব্যত্যয় হলে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

পরে গত ৬ জুন জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা, স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জের রিফান্ড, জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ ও নীতি সংস্কার করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS