ভিডিও

যে খাবারগুলো হতে পারে আপনার হিটস্ট্রোকের কারণ

প্রকাশিত: মে ০৩, ২০২৪, ০৪:০৭ দুপুর
আপডেট: মে ০৪, ২০২৪, ০১:১৪ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

রাজধানীসহ সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমের কারণে একই দিনে বেশ কিছু মানুষও মারা গেছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় গরমের তাপমাত্রা এর মধ্যেই রেকর্ড অতিক্রম করেছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। তাই এই গরমে আমাদের খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হবে।

যে খাবারগুলো হতে পারে আপনার হিটস্ট্রোকের কারন:

লাল মরিচের গুঁড়া : মরিচের গুঁড়া ব্যবহার খুবই পরিচিত। মাংস হোক বা অন্য যে কোনো রান্না, টকটকে লাল না হলে খেয়ে যেনো মজাই নেই। মন যেন ভরে না। কিন্তু জানেন কি, পেট গরম করে এই গুঁড়া মসলা। শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই যতটা পারবেন এই মসলা এড়িয়ে চলুন। রান্নায় ব্যবহার করলেও একেবারেই সামান্য।


রসুন : রসুন খাবারের স্বাদ বাড়ালেও গরমে তা শরীরের জন্য বিষ। গরমকালে এমনিতেই শরীর থাকে গরম। তার ওপর রসুন শরীরকে আরও গরম করে তোলে। শরীরের তাপ হঠাৎ করে বাড়লে হতে পারে হিট স্ট্রোক। তাই হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা কমাতে রান্নায় রসুনের ব্যবহার কম করুন।

গোল ম রিচের গুঁড়ো :যেকোনো খাবারে গোল মরিচের গুঁড়া দিলে, তার স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। স্বাদ বাড়ালেও গ্রীষ্মে এ মসলা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। গোলমরিচ শরীর গরম করে। আর এই ভ্যাপসা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখা দরকার। তা না হলে যেকোনো সমস্যা হতে পারে।

ডিম:  গরমকালে প্রত্যেকদিন ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলুন। ডিম খেলে বাড়তে পারে শরীরের তাপমাত্রা। 
অধিক মসলাযুক্ত খাবার: দারচিনি, আদা, পেঁয়াজ দারচিনি,আদা, পেঁয়াজ রসুন ইত্যাদি গরমকালে না খাওয়াই ভালো। এতে শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে। এগুলি প্রত্যেকটি গরম মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যা শরীর গরম করতে সাহায্য করে। 

চর্বিযুক্ত খাবার : চর্বিযুক্ত খাবার এই গরমের মরসুমে এড়িয়ে চলুন চর্বিযুক্ত খাবার। এটি খেলে আপনার হিটস্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকবে। শরীর গরম হয়ে যাবে। তাই গ্রীষ্মকালে এই খাবারগুলি খাবেন না।

বিশেষ করে যারা বাইরে কাজে যান, তাদের কম মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। এই গরমে যতটা পারবেন লাইট খাবার খান। লক্ষ্য রাখবেন এই সব মসলা যাতে রান্নায় কম দেওয়া হয়। এই মসলাগুলো শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রান্নায় বেশি পরিমাণে এগুলোর ব্যবহার হিট স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

আইসক্রিম ও কোমল পানীয়: অনেকে মনে করেন, আইসক্রিম ও ঠাণ্ডা বোতলজাত কোমল পানীয় খেলে গরম কম লাগবে। কিন্তু এগুলো খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্যই আইসক্রিম কিংবা কোমল পানীয় খাওয়ার পরপর তৃষ্ণার্ত বোধ করে মানুষ।

ফাস্টফুড: ফাস্টফুড নিয়ে বছরের পর বছর ধরে বহু আলোচনা-সমালোচনা চললেও মানুষ বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রায়েড চিকেন, পিৎজা ইত্যাদি হরহামেশা খাচ্ছে। কিন্তু গরমের সময়ে তো বটেও, সাধারণ সময়ে এগুলো খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণ শর্করা ও চর্বি থাকায় হজম করতে সময় লাগে। ফলে, এগুলো রক্তচাপকে প্রভাবিত করে, প্রদাহ বাড়ায়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS