ভিডিও

তীব্র রোদ  ও ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে হাতপাখার চাহিদা বেড়েছে 

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ০৬:২৪ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ০৯:৪৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

হাফিজা বিনা : রোদের তীব্র রোদ এবং ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ভ্যাপসা গরমের সাথে দিন এবং রাতের লোডশেডিংয়ে চারিদিকে একটু স্বস্তির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। ফ্যান ঘুরছে না। ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিংএ আইপিএস চার্জ হতে পারছে না। দিনে তো বটেই রাতের ঘুম হারাম হওয়ায় হাঁসফাঁস করা গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

এমন গা ঘামা পরিস্থিতিতে গরমের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে অনেক দিনের দোকানে ও ঘরের কোনে অনাদরে  পড়ে থাকা হাতপাখার কদর বেড়েছে। হাত পাখার বাতাসে তপ্ত হয়ে ওটা শরীরটাকে শীতল করছে গরমে অতিষ্ঠ মানুষ।

বগুড়ার ঠনঠনিয়া এলাকার গৃহবধূ শাহিনা আকতার আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের কাঁঠালতলা এলাকায় এসেছেন শুধুমাত্র পাখা কেনার জন্য। তিনি জানান, গত কয়েকদিন হলো একেবারে নাজেহাল অবস্থা। দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১০ ঘন্টাই কারেন্ট থাকে না। বাড়িতে একটা আইপিএস আছে তা বেশিক্ষণ ব্যাকআপ দেয় না।  আবার ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুত চলে যাওয়ায়  চার্জ হচ্ছে না ব্যাটারি।

তাই  তিনটি ঘরের জন্য একটা করে  হাত পাখা নিতে এসেছি। কারেন্ট চলে গেলে বাতাস করে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যাবে। প্রতিটি পাখার দাম পড়েছে ৫০ টাকা করে। তার মতই তাল পাতার হাতপাখার খোঁজ করছিলেন  সাজু  মন্ডল। বললেন, বাড়িতে অসুস্থ মা আছে। কারেন্ট থাকে না।

দিনের বেলা বাইরে গাছের নিচে বসে থাকলেও রাতে ঘরে থাকা যায় না। ভ্যাপসা গরমে গা ঘেমে  অ্যাজমা  বেশি হয়ে যাচ্ছে মায়ের। এছাড়াও সন্তানেরা পড়ালেখা করতে পারছে না। তাই বাধ্য হয়ে হাত পাখা কিনতে এসেছেন। তিনিও পাখা কিনেছেন  ৪০ টাকা করে দুটো ও একটা ৩০ টাকায়।

বগুড়ার চুড়িপট্টি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর সাথে পাখা বিক্রি হয় সিরাজ স্টোরে। এই স্টোরের স্বত্তাধিকারী  পিয়াল জানান, গরম সহনীয় হয়ে আসায় আগামি বছরের জন্য পাখাগুলো বেধে তুলে রেখেছিলেন। কিন্তু  গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরম আর ভয়াবহ লোডশেডিং এ ক্রেতারা পাখা কিনতে আসছেন। দিনে ৩০ থেকে ৪০টা পাখা বিক্রি হচ্ছে।

দাম বাড়েনি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এভাবে পাখা বিক্রি বাড়লে কাহালুর আলোড়া থেকে আরও পাখার যোগান আনতে হবে। তবে শহরের তুলনায় গ্রামের অবস্থা আরও ভয়াবহ। দিনরাতের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুত থাকে না।  আর তাই গ্রামেই হাতপাখার কদর সবচেয়ে বেশি।

হাটে বাজারসহ ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে করে নানা ধরনের  নানা ডিজাইনের তাল পাতার পাখা, রঙিন সুতার পাখা, রঙিন কাপড়ের পাখা বিক্রি হচ্ছে। দাম ৩০ থেকে ১০০ টাকা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS