ভিডিও

বসন্ত-ভালবাসা দিবস ও সরস্বতী পূজার জন্য বগুড়ায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে গোলাপ (ভিডিওসহ)

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৬:৩৩ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪, ১২:৫২ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

হাফিজা বিনা : পয়লা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বগুড়ার ফুল মার্কেট আজ থেকেই জমজমাট হয়ে উঠেছে। প্রতি বছরের মত এবারও বগুড়ার ফুল মার্কেটে উত্তাপ ছড়াচ্ছে বগুড়া, ঢাকা, সিরাজগঞ্জ ও যশোরের গদখালীর গোলাপ। গতবছরের চেয়ে এবছর সব কালের রেকর্ড ভেঙেছে গোলাপের পাইকারি বাজার।

প্রতিটি গোলাপ বিক্রির টার্গেট ধরা হয়েছে ৫০ থেকে ১২০ টাকায়। দাম বেড়েছে টিউলিপ, গ্লাডিওলাস, জারবেরা ও রজনীগন্ধাসহ অন্যান্য ফুলেরও। দিবসগুলোকে কেন্দ্র করে গতবছরের চেয়ে চাহিদা বাড়ায় ৫ লাখ টাকা বেশি টার্গেট ধরে ৩০ লাখেরও বেশি টাকার ফুল বিক্রির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

গোলাপ ফুল ভালবাসার ও সৌন্দর্য্যের প্রতিক। তাই ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত বরণ উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে ফুলের রানী গোলাপের। তরুণীরা চুলের খোপায় জারবেরা ফুল পড়তে পছন্দ করেন। এ জন্যে জারবেরাসহ অন্যান্য ফুলের চাহিদাও বেশ থাকে এদিনে।

দিবসগুলোকে কেন্দ্র করে সপ্তাহজুড়েই ফুলের পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে। সেই উত্তাপ এবারও ছাড়াবে ভালবাসার দাম দিতে, ফাগুনের রঙ ছড়াতে ও পূজার আরাধনায়। গতকাল সোমবার থেকেই ফুল মার্কেট থেকে আগাম ফুল কিনে রাখছেন ফুল প্রেমিরা।

বগুড়ার সাতমাথার খোকন পার্ক সংলগ্ন ফুল মার্কেটে ১৭টি স্থায়ী দোকানে প্রতিদিন ফুলের বেচাকেনা হয়। প্রতিটি দোকানে এই দিবস তিনটিকে কেন্দ্র করে মালিক কর্মচারী মিলে প্রায় দেড়শ’ মানুষ ফুলের পসরা সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

দোকান মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেল প্রতিটি দোকান ভাল বিক্রির আশায় কমপক্ষে ১ লাখ টাকারও বেশি ফুল কিনেছেন। তারা জানিয়েছেন ফুলের বাজার বেশ চড়া। প্রতিটি পণ্যের মত পাইকারিতে ফুলের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে।

বগুড়া ফুল মার্কেটের প্রায় ৩২ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফুলের ব্যবসা করছেন আপন ফুল ঘরের স্বত্বাধিকারী মোকলেছার রহমান বাটুল। তিনি জানান, ফুলের বাজার খুব ধীর গতিতে চলে। সপ্তাহের অন্যদিনগুলো সাদামাটা হলেও সাধারণত ফুল বিক্রি হয় বৃহস্পতি ও শুক্রবারে। এছাড়াও নববর্ষ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ফুল বিক্রি হলেও সবচেয়ে বেশি ফুল বিক্রি হয় বসন্ত ও ভালবাসা দিবসে।

এবার সেই উৎসবের সাথে যোগ হয়েছে পূজা। এসব উৎসবে গোলাপের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। লাল হলুদ গোলাপের দাম  ৫০টাকা। বিভিন্ন রঙের থাই গোলাপ থেকে ১শ থেকে ১২০ পর্যন্ত,  জারবেরা ১৫  থেকে ২৫, গ্লাডিওলাস ২০,  রজনীগন্ধা ১৫-১৮,  টিউলিপ ফুল  ১২০ টাকা, গাদা প্রতিটা ২ টাকা, ফুলের তোরা ৪শ’-৫শ’, মাথার ব্যান্ড ১২০-১৫০টাকা করে বিক্রির টার্গেট।

তিনি আরও জানান, অন্যান্য বছর এসব উৎসবের জন্য ফুলের চাহিদা মেটাতে যশোরের গদখালি এলাকার ফুলের ওপর ব্যবসায়ীরা নির্ভর করে থাকলেও এবছর বগুড়া সদরের শাখারিয়া ইউনিয়নের ভান্ডার পাইকার, ফণির মোড়, শিবগঞ্জের মহাস্থান এলাকা, শাজাহানপুর উপজেলার ৯ মাইল ও সিরাজগঞ্জের রতনকান্দি ফুলের যোগান এসেছে।

বগুড়া জেলা ফুল ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ দাস বলেন, পাইকারিতে ফুলের বাজার খুব চড়া। ফুল কাঁচামাল হওয়ায় সারাবছর প্রতিটি দোকানির লোকসান গুণতে হয়। বিভিন্ন দিবসগুলোতে সেই ক্ষতি কিছুটা হলেও পুশিয়ে তোলেন ব্যবসায়ীরা। বসন্ত, ভালবাসা দিবস ও সরস্বতী পূজায় ২৬ থেকে ৩০ লাখ টাকার ফুল বিক্রির টার্গেট।

এছাড়াও সামনে আছে ২১ ফেব্রুয়ারি। এই দিবসগুলোতে সব মিলিয়ে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকার ব্যবসা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই টার্গেট নিয়েই প্রতিটি দোকানে গোলাপসহ বিভিন্ন ধরণের ফুলের যোগান বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS