ভিডিও

বগুড়া কারাগারের ছাদ কেটে ফিল্মি স্টাইলে ৪ ফাঁসির আসামির পলায়ন, যেভাবে ধরিয়ে দিল কুকুর

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৪, ১১:২৯ রাত
আপডেট: জুন ২৭, ২০২৪, ১১:৪৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

মাসুদুর রহমান রানা : এবার হিন্দি সিনেমার কাহিনীর মত ‘মোস্ট’ ওয়ান্টেড’ আসামিদের জেল থেকে পালানোর বাস্তব ঘটনা ঘটলো বগুড়ায়। ভোররাতে ফিল্মি স্টাইলে বগুড়া কারাগারের ‘কনডেম’ সেলের  ছাদ কেটে  বিছানার চাদর ছিঁড়ে গিট দিয়ে দড়ি বানিয়ে প্রাচীর টপকে পালিয়ে গেল চার দুর্ধর্ষ ফাঁসির আসামি। কিন্তু বিধি বাম। শেষ রক্ষা হলো না তাদের।

এই দুর্ধর্ষ আসামিদের নত শিকার করতে হলো একদল কুকুরের কাছে। মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত প্রাণী কুকুরই তাদের ধরিয়ে দিল। কারাগার থেকে পালিয়ে করতোয়া নদীর পাড় ধরে শহরের চেলোপাড়া চাষী বাজারের কাছে বাঁশের ব্রিজের পাশ দিয়ে লুকিয়ে ও হামাগুড়ি দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল ওই চার ফাঁসির আসামি। তখন কুকুর তাদের দেখে ফেলে।

সেখানে অচেনা মানুষ দেখে ১০-১৫টি কুকুর একযোগে ঘেউ ঘেউ করে তাদের ঘিরে ধরে। এ সময় পাশেই রেল ব্রিজে বসেছিলেন চেলোপাড়ার কয়েক যুবক। প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় তারা বাড়ির বাইরে এসে হাওয়া খেতে রেল ব্রিজে বসেছিলেন। এ সময় কুকুরের তীব্র চিৎকার শুনে তারা সেখানে যান। এগিয়ে গিয়ে দেখেন চারজন অচেনা লোককে একদল কুকুর ঘিরে রেখেছে।

এরপর তাদের চোর সন্দেহ হলে তারা তাদের আটক করে স্থানীয় কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্র দাসকে জানান। এরপর কাউন্সিলর এসে তাদের আটক করে স্থানীয় চাষী বাজারের পাশে শিশু পার্কে রেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো : বগুড়া জেলা কারগার হতে পলাতক মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত কয়েদিরা হলো, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারি উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর (৬০), বগুড়া সদরের সাবগ্রাম ইউনিয়নের কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ইসমাইল ওরফে চাঁন মিয়ার ছেলে ফরিদ শেখ (২৮), কাহালু পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা মো: আব্দুল মান্নানের ছেলে মো: জাকারিয়া (৩১) ও নরসিংদীর মাধবদী থানার ফজরকান্দি এলাকার মৃত ইসরাফিল খাঁর ছেলে আমির হোসেন ওরফে আমির হামজা (৩৮)।

এদের মধ্যে কুড়িগ্রামের নজরুল ইসলাম মঞ্জুর ও নরসিংদীর আমির হামজা ফোর মার্ডার মামলার ফাঁসির আসামি। এ ছাড়া বগুড়ার কাহালু উপজেলার জাকারিয়া ২০১২ সালে কাহালু উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র নাইমুর ইসলাম নাইমের হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি।

কে এই জাকারিয়া? কাহালু পৌর এলাকার উলট্ট পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কাহালু পৌর মেয়র আব্দুল মান্নান ওরফে ভাটা মান্নানের ছেলে। গত ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল সকালে কাহালু উপজেলার নারহট্ট ইউনিয়নের রোস্তমচাপড়  গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে নাইম স্কুলে যাওয়ার সময় জাকারিয়া ও তার সহযোগীরা মিলে তাকে অপহরণ করে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর তার বাবার ইট ভাটার আগুনে পুড়িয়ে ফেলে।

এরপর নাইম বেঁচে আছে বলে তার বাবার নিকট থেকে ৫ লাখ টাকার মুক্তিপণও আদায় করে। এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি সাড়া দেশে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। নাইম হত্যার ঘটনার পরপরই জাকারিয়া আত্নগোপন করেছিল। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালতে বিচারের রায়ে জাকারিয়ার মৃত্যুদন্ডাদেশ দেয়া হয়।

বগুড়ার পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আজ বুধবার (২৬ জুন) সকাল ১০ টার দিকে তার কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংকালে বলেন, বগুড়া  জেল হতে পলাতক মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত ৪ কয়েদির পলায়ন ও গ্রেফতারের বিষয়টি তুলে ধরেন।

যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয় : পুলিশ সুপার বলেন, আজ বুধবার (২৬ জুন) ভোর ৩ টা ৫৬ মিনিটে জেল সুপার বগুড়া জেলা কারাগার হতে চারজন মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত কয়েদি পালিয়ে যাওয়া সম্পর্কে তাকে জানান। এ খবর জানার সাথে সাথেই তিনি বেতার যন্ত্র মারফত নাইট ডিউটিরত সকল পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় নিয়োজিত থাকতে নির্দেশনা দেন।

এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোঃ স্নিগ্ধ আখতার, পিপিএস (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে বগুড়া সদর থানার ওসি মো: সাইহান ওলিউল্লাহ নাইট ডিউটিরত কয়েকটি টিমকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে।

অভিযানকালে সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোঃ খোরশেদ আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ একই দিন ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে ৪ জন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে করতোয়া নদীর পাড় ঘেঁষা চেলোপাড়া চাষীবাজার এলাকা হতে আটক করে এবং বেতার যন্ত্রে সদর থানার ওসির কাছে দ্রুত পুলিশি সহায়তার চাইলে তিনি নিজে তাৎক্ষণিক সেখানে যান এবং অন্য ব্যাকআপ পার্টি হিসাবে পুলিশের তিনটি টিমকে ঘটনাস্থলে ডেকে নেন।

পরবর্তীতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ৪ জন নিজেদেরকে মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত কয়েদি এবং তারা বগুড়া জেলা কারাগার হতে পালানোর বিষয়টি স্বীকার করে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে কারা কর্তৃপক্ষ ডিবি অফিসে এসে পলাতক কয়েদিদের সনাক্ত করেন এবং নিশ্চিত করেন যে তারাই বগুড়া কারাগারের ছাদ কেটে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত চার কয়েদি।

যেভাবে পালিয়ে যায় : প্রেসব্রিফিংকালে পুলিশ সুপার বলেন, ফাঁসির এই চার আসামি বগুড়া কারাগারের জাফলং নামে একটি কনডেম সেলে থাকতো। তারা পরিকল্পনা করে যে তারা কনডেম সেলের ছাদ কেটে পালিয়ে যাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ছাদ কেটে পালিয়ে যায়।

এরপর সেলের বিছানার চাদর ও কাপড় একসাথে বেঁধে দড়ি বানিয়ে উত্তর পাশে প্রাচীর টপকে করতোয়া নদীর পশ্চিম পাশ দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে কিভাবে তারা ছাদ কাটলো, কোথায় ড্রিল মেশিন পেল, বিদ্যুৎ সংযোগও তারা কীভাবে পেল তারা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।  পুলিশ সুপার বলেন, কি ধরণের যন্ত্রপাতি দিয়ে সেলের ছাদ কাটা হয়েছে তদন্ত করে পরে সেই তথ্য পাওয়া যাবে।

একমাস ধরে পরিকল্পনা : সদর ফাঁড়ির এসআই খোরশেদ আলম অবশ্য বলেছেন ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত ওই চার কয়েদি এক মাস আগে থেকে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুয়ায়ী তারা নিজেদের সংগ্রহে থাকা একটি স্টীলের পাত ও ভাঙ্গা স্ক্রু ডাইভার দিয়ে সেলের ছাদ ফুঁটো করতে থাকে। চুন ও সুরকির ছাদটি অনেক পুরোনা। এটি ব্রিট্রিশ আমলে নির্মিত।

যে কারণে ছাদের অবস্থা দুর্বল। প্রতিদিন তারা স্টিলের পাত ও স্ক্রু ডাইভার দিয়ে একটু একটু ছাদ ফুঁটো করতে থাকে। প্রতিদিন যে ধুলোবালি হয় তারা তা নিজেরাই পরিস্কার করে। কেউ পরিস্কার করতে এলে বলে কোন আবর্জনা নেই।

এভাবে তারা ছাদ কেটে গভীর করে সুরঙ্গ তৈরি করে। এরপর ওই সুরঙ্গ দিয়ে বেরিয়ে আসে। এরপর বিছানা কাপড় ও চাঁদর বেঁধে দড়ি বানিয়ে প্রাচীর টপকে পালিয়ে যায়। তিনি তাদের গ্রেফতারে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এমন তথ্য পেয়েছেন বলে এস আই খোরশেদ জানান। সেইসাথে ওই স্টিলের পাত, দড়ি ও স্কু ড্রাইভার জব্দ করা হয়েছে।

নাজুক নিরাপত্তা ব্যবস্থা : বগুড়া কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নাজুক। তার প্রমাণ হলো ফাঁসির ওই চার আসামির পলায়ন। কারাগার জুড়ে নিরাপত্তার জন্য কারা প্রহরীরা থাকেন। কিন্তু তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করায় ওই চার কয়েদির পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।

কয়েদিদের পোশাক ছিলনা : কারাগারে কনডেম সেলে তাদের পরনে কয়েদির পোশাক পড়ে থাকার কথা। কিন্তু পালানোর পর দেখা গেছে শুধু একজন ছাড়া অন্যদের পরনে কয়েদির পোশাক ছিলনা। তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা সাধারণ পোশাক পড়ে চলে যায়। বাইরে ধরা পড়ার ভয়ে তারা এই পোশাক পরিবর্তন করতে পারে বলে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার ধারণা।

সহযোগী কেউ থাকতে পারে : এই  চার কয়েদি পালিয়ে যেতে কেউ সহযোগিতা করতে পারে বলে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার ধারণা। তারা বলেন, শুধু স্টিলের পাত ও স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে ছাদ ফুঁটো করে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে ড্রিল মেশিন, বিদ্যুৎ সংযোগ ও কেবল দরকার হতে পারে। এছাড়া ছাদ ফুঁটো করার সময় শব্দ হওয়ার কথা। কিন্তুু কেউ শব্দ শুনলো না, বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য নয়।

ওরা কিছু বলতে চেয়েছিল :  গ্রেপ্তার হওয়ার পর যখন ওই ফাঁসির আসামিদের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। তখন তারা কারাগারের দুর্নীতি নিয়ে সাংবাদিকদের কিছু বলতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ এ সময় তাদের কিছু বলতে দেয়নি। অনেকে বলছেন, কারাগারে অনেক দুর্নীতি হয়, নির্যাতন করা হয় তারা হয়তো সে বিষয়ে বলতে চেয়েছিল। কিন্তু দুর্ধর্ষ আসামি হওয়ার কারণ দেখিয়ে তাদের সেই সুযোগ দেয়া হয়নি।

কুকুর যেভাবে ধরিয়ে দিল? বগুড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, বগুড়া কারাগার থেকে পালিয়ে এই চার কয়েদি কারাগার সংলগ্ন করতোয়া নদীর পশ্চিম পাড় ধরে চেলোপাড়ায় বাঁশের ব্রিজের কাছে আসে। এ সময় তারা শেষরাতের অন্ধকারের মধ্যে লুকিয়ে এবং হামাগুড়ি দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু বিধি বাম, এই ফাঁসির আসামিদের যেতে দেয়নি একদল কুকুর।

এ সময় অচেনা মানুষ দেখে ১০-১৫টি কুকুর একসাথে ঘেউ ঘেউ করে ওঠে তাদের ঘিরে ধরে। তখন ভোর অনুমান ৪টা। এ সময় বিদ্যুৎ ছিলনা। এ জন্য চেলোপাড়া এলাকার নয়ন, দুখু, রাব্বি, শহিদুল, টিংকুসহ কয়েকজন রেল ব্রিজের ওপর বসে হাওয়া খাচ্ছিল। আগ্রাসী কুকুরের চিৎকার শুনে তারা এগিয়ে যায়। এগিয়ে গিয়ে দেখেন চারজন লোককে কুকুর ঘিরে ধরে আছে।

এ সময় তাদের চোর সন্দেহে তাদের ধরে ফেলেন। এরপর তাকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে তিনি এসে পাশেই চাষী বাজারে তাদের নিয়ে যান। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করায় আসল সত্য বেরিয়ে আসে। তারা বগুড়া জেল থেকে পালিয়েছে বলে স্বীকার করে। এরপর তাদের আটক করে সদর থানা, সদর ফাঁড়ি ও নারুলি পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হয়।

সংবাদ পেয়ে সদর ফাঁড়ির এসআই খোরশেদে আলমসহ একদল পুলিশ আসে। কিন্তু পুলিশ দেখে এ সময় ফাঁসির আসামি কয়েদি সাবগ্রামের ফরিদ শেখ পালালোর জন্য দৌড় দেয়। এ সময় উপস্থিত জনতা ও পুলিশ ধাওয়া করে তাকে ফের আটক করে। তবে অন্য আসামিরা পালাতে পারেনি। পরে সব আসামিকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

জেইলর যা বলেন : বগুড়া কারাগারের জেইলর মো: ফরিদুর রহমান রুবেল কারাগার থেকে ওই চার ফাঁসির আসামি কয়েদি পালানার বিষয়ে তেমন মুখ খোলেননি। তবে এটুকু বলেছেন যে ওই কয়েদিরা কনডেম সেলের ছাদ ফুঁটো করে বের হয়ে প্রাচীর টপকে উত্তর পাশ দিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি ডিউটিরত কারারক্ষীরা দেখলেও তাদের আটকাতে পারেনি। পরে বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানানো হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

তদন্ত কমিটি : কারাগারের সার্বিক নিরাপত্তা ও কারা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির বিষয় খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসন থেকে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) পিএম ইমরুল কায়েসকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটিতে জেলা পুলিশ, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও গণপূর্ত বিভাগের একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন। এই তদন্ত কমিটি কিভাবে ছাদ কাটা হলো এবং নিরাপত্তার কোন ঘাটতি ছিলো কি-না তা খতিয়ে দেখবে।

সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে কারা অভ্যন্তরে এবং বাইরের নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।’

অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক যা বললেন : ঘটনা জানার পর ঢাকা থেকে বগুড়ায় পৌঁছেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্ণেল শেখ সুজাউর রহমান। তিনি বগুড়া জেলা কারাগার পরিদর্শন শেষে বলেন, বগুড়ার কারাগারটি অনেক পুরাতন, ১৮৩৩ সালে নির্মিত। ফলে এর যে ছাদ তা পুরাতন, সেখানে তারা ছিদ্র করে বেরিয়ে যায়। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। কীভাবে তারা সকলের নজর ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে গেলো।

কার কী দায়-দায়িত্ব ছিলো সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, কারাগার থেকে আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার কারণে এখানে নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি চিহ্নিত হয়েছে। এখন তদন্ত করে দেখতে হবে দুর্বলতা কোথায় ছিলো? তারা পালিয়ে যাওয়ার সময়ের একটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে, সেটাকে তদন্তের কাজে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলেও জানান তিনি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS