ভিডিও

১৮ দিন ধরে ট্রেন বন্ধ : পাসপোর্টসহ জরুরি ডকুমেন্ট বগুড়ায় আসেনি

ভোগান্তিতে জামিনপ্রার্থীসহ পাসপোর্ট প্রাপকরা

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৪, ১১:২০ রাত
আপডেট: আগস্ট ০১, ২০২৪, ১২:৪৮ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

রাহাত রিট : সাম্প্রতিক সহিংসতার কারণে টানা ১৭দিন ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বগুড়াসহ এই অঞ্চলে চিঠি আদান প্রদান এবং বর্হিগমনের পাসপোর্ট প্রদান বন্ধ রয়েছে। গত ১৮ জুলাইয়ের পর বগুড়া পাসপোর্ট অফিসে ডাকে কোন পাসপোর্ট আসেনি। জরুরি এবং অতি জরুরিভাবে যারা পাসপোর্ট করেছেন তারাও পাসপোর্ট হাতে পাচ্ছেন না।

অন্যদিকে একই দিন থেকে সরকারি অফিস ও আদালতেও আসেনি কোন চিঠি। বিশেষ করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়া আসামিদের জামিনের কাগজ আদালতে পৌছেনি। ফলে জামিন পেলেও তারা জেল থেকে মুক্ত হতে পারছে না। অনেকের নিয়োগ পরিক্ষার প্রবেশ পত্র আবার কারোর নিয়োগ পত্র এই ডামাডোলে আটকে গেছে বলে মনে করছেন প্রত্যাশীরা।

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে ব্যাপক সহিংসতার কারণে ১৮ জুলাই থেকে বিক্ষিপ্তভাবে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ট্রেন চলাচল বন্ধ হওযায় কার্যতঃ অচল হয়ে পড়ে ডাক বিভাগ। কারণ ডাক বিভাগের চিঠি আদান প্রদানের জন্য পরিবহন হিসেবে ট্রেনের ব্যবহার করা হয় শুরু থেকেই। একারণে ট্রেন বন্ধ থাকায় ডাক বিভাগের যে কোন ধরণের পার্সেল আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

গত ১৮ জুলাইয়ের পর বগুড়া ডাক বিভাগে ট্রেন পথে বগুড়ায় কোন ডাক আসেনি। বিশেষ করে সরকারি জরুরি চিঠিপত্র, ডকুমেন্ট আসেনি। বগুড়া  বারের আইনজীবী এড. বিনয় কুমার দাষ বিশু জানান. ডাক না আসার কারণে উচ্চআদালতে জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের জামিনের আদেশ রেজিস্ট্রিডাক যোগে আসে। ট্রেন বন্ধ থাকায় যথাসময়ে সেই ডাক আসছে না।

সংশ্লিষ্ট আদেশের আলোকে সংশ্লিষ্ট আদালতে জামিননামা দাখিল করতে পারছে না। একারনে বিচার প্রার্থীরা জামিনের আদেশ পাওয়া সত্তে¡ও জামিননামা দাখিল করতে না পারায় তাদেরকে হাজতে বেশিদিন থাকতে হচ্ছে।

বগুড়া পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার জানান, ১৮ জুলাইয়ের পর বগুড়া পাসপোর্ট অফিসে কোন পাসপোর্ট ডেলিভারি আসেনি। একারণে অনেকে পাসপোর্ট নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট করতে দিয়েছেন, তাদের পাসপোর্ট প্রিন্ট সম্পন্ন হলেও কেবল ঢাকা থেকে ডাক না আসায় তা ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা।

তিনি আরও জানান সরকারি বেশিরভাগ জরুরি ডকুমেন্ট ট্রেনে আসে। নিরাপদ বাহন হিসেবে ট্রেন ব্যবহার করা হয়। বগুড়া প্রধান ডাকঘরের সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল আল আমিন জানান, ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ন জেলা থেকে চিঠি, ডকুমেন্ট ট্রেনে আসে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় তারা কোন চিঠি পাচ্ছেন না।

তবে ৩০ জুলাই পার্বতীপুর স্টেশনে দীর্ঘদিন জমে থাকা ডাক গাড়ি দিয়ে বগুড়ায় আনা হয়েছে। সেগুলো বগুড়া থেকে আবার অন্য জেলা বা স্থানে পাঠানো হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS