স্পোর্টস ডেস্ক : ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) নতুন মৌসুম। তা সামনে রেখে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা চরমে।
এমএলএসের নতুন মৌসুম সামনে রেখে স্টাবহাব-এ ইন্টার মায়ামির টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এতটাই যে এই প্রতিষ্ঠানের ‘শীর্ষ ২৫ টপ সেলিং গেমস’-এর তালিকার প্রতিটিতেই জায়গা করে নিয়েছে মায়ামি। এর মধ্যে ১০টি ম্যাচ মায়ামির ঘরের মাঠে, বাকি ১৫ ম্যাচ প্রতিপক্ষের মাঠে। গত বছর জুলাইয়ে পিএসজি ছেড়ে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে মায়ামিতে যোগ দেন মেসি।
গত মৌসুম শুরুর (২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩) আগে মায়ামির টিকিটের যে চাহিদা ছিল, সে তুলনায় এবার টিকিটের চাহিদা ১৫০ গুণ বেড়েছে। টিকিট বিক্রিতে দ্বিতীয় লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সির তুলনায় ৩৫ শতাংশ টিকিট বেশি বিক্রি হয়েছে মায়ামির। এ তালিকায় তৃতীয় নিউ ইংল্যান্ড রেভল্যুশনের তুলনায় মায়ামির টিকিট-বিক্রির সংখ্যা দ্বিগুণ।
‘স্টাবহাব’ আরও একটি তথ্য জানিয়েছে। এবার এখন পর্যন্ত ৪৪টি দেশের মানুষ এমএলএসের নতুন মৌসুমের টিকিট কিনেছেন। গত মৌসুম শুরুর আগের সময়ের তুলনা যায় রীতিমতো বিস্ময়কর। গত মৌসুম শুরুর আগে এমএলএসের টিকিট কিনেছিলেন ৯টি দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। আর গত বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে সেই গত মৌসুম যা মেসি যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে পা রাখার আগের ঘটনা। কিন্তু গত বছর জুলাইয়ে মেসি দেশটির ফুটবলে পা রাখার পর পাল্টে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ফুটবলের মানচিত্র।
এবারই যেমন মৌসুম শুরুর আগেই এমএলএস নিয়ে ৪৪টি দেশের মানুষের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তাতে যে আটবার ব্যালন ডি’অরজয়ী এবং আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো কিংবদন্তি মেসির সিংহভাগ অবদান, সেটি না বললেও চলে। তবে মায়ামিতে সম্প্রতি যোগ দেওয়া উরুগুয়ে তারকা লুইস সুয়ারেজের প্রতিও আগ্রহ রয়েছে ফুটবলপ্রেমীদের।
স্টাবহাবের মুখপাত্র অ্যাডাম বুদেল্লি সংবাদমাধ্যম ‘মায়ামি হেরাল্ড’কে বলেছেন, ‘মেসির ইন্টার মায়ামিতে আসার প্রভাব বেড়েই চলেছে। বৈশ্বিকভাবে স্টাবহাবে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ইন্টার মায়ামির টিকিট বিক্রি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি এমএলএসের টিকিট বিক্রিও সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। ফুটবল তারকা হিসেবে এগুলো তার প্রভাবেরই প্রতিচ্ছবি।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।