ভিডিও

জিম্বাবুয়ে সিরিজ না খেলা নিয়ে যা বললেন সাকিব

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ০৪:৫২ দুপুর
আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ০৪:৫২ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্পোর্টস ডেস্ক : আগামী মাসের শুরুতেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি হোম সিরিজ। এই সিরিজ দিয়ে সাকিব আল হাসান যে বাংলাদেশের জার্সিতে ফিরছেন তা নিশ্চিত। তবে কয়টা ম্যাচে খেলবেন তিনি তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। 

প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরু থেকে খেলবেন না সাকিব। এ সময়ে তিনি শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের হয়ে ডিপিএলে খেলবেন। এই ঘোষণা থেকেই জন্ম ধোঁয়াশার।

আগামী ৩ মে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। অথচ সেই সময়ে শেখ জামালের হয়ে ডিপিএলের সুপার লিগে খেলবেন সাকিব আল হাসান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ রেখে ডিপিএলে কেন খেলবেন সাকিব, তাও আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দোরগোড়ায় রেখে? -এমন প্রশ্ন তাই মুখে মুখে। যা কানে গেছে সাকিবেরও। 

তাই যুক্তরাষ্ট্রের একটি অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন সাকিব। সাকিব জানিয়েছেন, টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সাকিব বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে অবশ্যই খেলব। দেশে হয়তো এ নিয়ে একটা কনফিউশন চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটা নিয়ে কথা চলছে যে আমি জিম্বাবুয়ে সিরিজে শুরু থেকে খেলব না, ডিপিএল খেলব...আসলে কোচ, অধিনায়ক সবার সঙ্গে আগে কথা বলে রেখেছিলাম। কোচ বলেছিলেন দুটো ম্যাচ খেললেই হবে। এরপর অধিনায়ক ও নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলি, তারা বলেছে দুটো না তিনটা ম্যাচ খেলো, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়। আমি বলেছি সমস্যা নেই। এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেটা নিয়ে দেশে এত কনফিউশন দেখতে পাচ্ছি। খুবই অবান্তর আলোচনা।’

সাকিব আবার নিশ্চিত করেন যে, সবকিছু আলোচনার মাধ্যমেই হয়েছে, ‘আসলে এগুলো আলোচনার মাধ্যমেই হয়, আমার ইচ্ছামতো হয় না। যেহেতু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুটি ম্যাচ থাকবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচ খেলার আগে। সেহেতু দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে, এ ছাড়া প্রস্তুতিটাও ভালো হবে। সে কারণে আসলে এই দুইটা ম্যাচ খেলা। এখানে এর বেশি নাই।’ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরু থেকে সাকিবের না খেলা নিয়ে শোরগোল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই নিয়ে নানান আলোচনা। এসবে নাকি হাসি পায় সাকিবের। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা থাকলে ফেসবুকে বেশি সময় কাটানো হয়, দেশে থাকলে সময় পাই না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব দেখলে আমার একটু হাসিই পায় যে মানুষ কত রকম চিন্তা করতে পারে। যা হয়েছে বিসিবি আর আমার আলোচনার মধ্যেই হয়েছে। কারণ, আমাদের অন্যান্য খেলোয়াড়দেরও দেখা জরুরি। বিভিন্ন ধরনের কম্বিনেশন তৈরি করতে হলে আমাদের কী অবস্থায় থাকতে হবে, সে প্রস্তুতিটা নিতে পারি।’

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই বাংলাদেশ দল যাচ্ছে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। সময়ের সঙ্গে দলের পারফরম্যান্সেও আছে উন্নতির ছাপ। সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও দারুণ লড়াই করেছে টাইগাররা। জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কন্ডিশনের সঙ্গে মিল আছে বাংলাদেশের। এই টুর্নামেন্টে টাইগারদের কতটুকু সম্ভাবানা দেখছেন সাকিব? তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ পাওয়ার মতো অবস্থায় আসছি কি না, এটা বলাটা একটু মুশকিল। তবে টি-টোয়েন্টিতে যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে, বড় ছোট দল নেই। আমাদের বিশ্বাসটা দরকার, ওই বিশ্বাসটা নিয়ে যদি খেলতে পারি, আমরা ভালো করব। বলছি না, ট্রফি জিততে পারব কি পারব না। তবে আমাদের ভালো কিছুর সম্ভাবনা আছে।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS