ভিডিও

দাবা আঙ্গিনায় জিয়াকে শেষ বিদায়

প্রকাশিত: জুলাই ০৬, ২০২৪, ০৫:৫৩ বিকাল
আপডেট: জুলাই ০৬, ২০২৪, ০৫:৫৩ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরাতন ভবনে জীবনের দীর্ঘ সময় কেটেছে ৫০ বছর বয়সী গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরোনো ভবনের সামনের চত্ত্বরটা দিয়ে কত অসংখ্যাবার হেঁটে গেছেন দাবা ফেডারেশনে। গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান আজ আরও একবার এলেন সেখানে, নিথর দেহে, কাফনে ঢাকা। ক্রীড়াঙ্গনের শত শত মানুষ শেষ বিদায় জানিয়েছেন দাবার এই কিংবদন্তীকে। বেলা সাড়ে এগারটায় এনএসসির এই চত্ত্বরেই হয়েছে তাঁর জানাযা, চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন এরপর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে বাবার কবরের পাশে।

গতকাল একেবারে আকষ্মাৎ জাতীয় দাবার খেলা চলাকালীনই চেয়ার থেকে ঢলে পড়েন জিয়া। এরপর দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। মাত্র ৫০ বছরে বয়সে ক্রীড়াঙ্গনে শোকস্তব্ধ করে চলে গেছেন তিনি। আজ তাঁকে শেষ বিদায় জানাতে এসে আরও একবার দেশের এই কৃতি সন্তানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, ‘এই মৃত্যুতে শুধু ক্রীড়াঙ্গন নয়, গোটা জাতি আজ শোকস্তব্ধ।

আমাদের ক্রীড়াঙ্গনে যে কয়জন বড় অবদান রেখেছেন, গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া তাঁদের অন্যতম। শুধু জাতীয়ভাবে আন্তর্জাতিক সাফল্য এনে দিয়ে তিনি দেশকে গর্বিত করেছেন। উনি উনার প্রিয় অঙ্গনেই শেষ বিদায় নিয়েছেন, কিন্তু এমন মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত।’

 

জিয়ার মৃত্যুতে একাকী হয়ে গেলেন তাঁর স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান।

ছেলে তাহসিন তাজওয়ারকে গ্র্যান্ডমাস্টার বানোনোর স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই তাহসিনের ভবিষ্যৎও এখন আঁধারে ঢেকে গেল। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশমনের মহাসচিব জিয়ার পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘আমি কথাবার্তা বলে যেটা বুঝলাম, তাঁদে এখন একটা সহযোগিতা প্রয়োজন। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন সেজন্য পাশে থাকবে। দাবা ফেডারেশনের সঙ্গে মিলে আশা রাখি আমরা একটা কিছু করতে পারব তাঁর পরিবারের জন্য।
’ জাতীয় দাবার খেলা ফেলে গতকালই হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন দাবাড়ুরা। আজ অশ্রুসজল চোখে জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে তাঁরাও এসেছিলে। গ্র্যান্ডমাস্টার আব্দুল্লাহ আল রাকিব এখন খেলছেন না। ‘প্রিয় জিয়া ভাই’ কে শেষ দেখা দেখতে নারায়নগঞ্জ থেকে তিনিও ছুটে এসেছেন, ‘সেই ১৯৯৪ সালে জাতীয় দলে ঢোকার পর থেকে জিয়া ভাই ছিলেন আমাদের কাছে অভিভাবকের মত। দাবাড়ু হিসেবে যত বড় ছিলেন, তেমনি মানুষ হিসেবে। উনার সরলতা অবাক করার মত, পাশাপাশি নীতিগত দিক থেকেও খুব শক্ত মানুষ ছিলেন না। এমন একজনকে এভাবে হারিয়ে ফেলার কষ্ট ব্যক্ত করার মত না।’

 

সেই অব্যক্ত বেদনা বহুদিন হয়তো থেকে যাবে এই দাবার অঙ্গনে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS