ভিডিও

ঢাকার লাখো মানুষের কাছে হাতে তৈরী  খাবার পৌঁছে দেন রুবাইদা রাখী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৪:২১ দুপুর
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৭:১৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সাজেদুর আবেদীন শান্ত ঃ বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পুরুষের পাশাপাশি অনেক নারী হচ্ছেন স্বাবলম্বী। তেমনি এক নারী রুবাইদা রাখী। তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে নিজের হাতে তৈরী খাবার পৌছে দেন ঢাকা শহরের লাখো মানুষের কাছে। আর এতেই অল্প সময়ে মধ্যে সাফল্যের দেখা পান রাখী। লাখপতি বনে যান তিনি।

রাখীর জন্ম বেড়ে ওঠা ঠাকুরগাঁওয়ে। বর্তমানে স্বামী ও এক সন্তান নিয়ে থাকেন ঢাকার মিরপুরে। একাকিত্বের সঙ্গী হিসেবে রাখী চালান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এভাবেই রাখীর অবসর সময় কাটে। হঠাৎ রাখী ভাবে আমিতো নানান রকম রান্না করতে পারি। যদি আমার রান্না করা খাবার গুলো ঢাকা শহরের ব্যস্ত মানুষদের পৌছে দিতে পারি? এতে আমার একাকিত্বও দূর হবে আর্থিকভাবে লাভবানও হবো।

কিন্তু সমস্যা হলো রান্না করা খাবারগুলো মানুষের কাছে পৌঁছানোর উপায় কি? এরপর তিনি তার রান্না করা খাবারগুলো মানুষের মধ্য পৌছে দেওয়ার জন্য ফেসবুক ব্যবহার করেন। তিনি প্রথমে একটি ফেসবুক পেইজ খুলেন। নাম দেন ভর্তা বাহার। এরপর এ পেইজের মাধ্যমে তিনি তার উদ্যোগ পরিচালনা করেন।

রুবাইদা রাখীর ক্যাটারিং সার্ভিসে বর্তমানে ১০০ রকমের ভর্তা, ১৬ রকম ডাল এবং ৫০ রকমের তরকারি পাওয়া যায়। এছাড়াও পোলাও, কোরমা, চাইনিজ আইটেমসহ ফ্রোজেন আইটেমও পাওয়া যায়। যা প্রায় ৫০০ লোক পর্যন্ত অর্ডার করে খেতে পারবেন। ঢাকা শহরের যেকোনো জায়গা থেকে অনলাইনে অর্ডার করে খাওয়া যাবে রাখীর রান্না। তবে বেশি খাবার অর্ডার করলে জানাতে হবে আগের দিন।

রুবাইদা রাখী বলেন, ‘পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ও একাকিত্বের হাত থেকে বাঁচতে আমার এ উদ্যোগ। আমরা অযথাই ফেসবুকে সময় নষ্ট করি। তাই আমি ভাবলাম ফেসবুকে সময় নষ্ট না করে কিছু করা যায় কি না। এরপর আমি ফেসবুকের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হয়ে যাই। ঢাকার ব্যস্ত মানুষদের কাছে খাবার পৌছাই। আমার উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে প্রধান ভুমিকা রেখেছে তথ্যপ্রযুক্তি। এর মাধ্যমেই আমি আজ উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছি’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মূলত শূন্য পুজিতে খাবারের ব্যবসা শুরু করেছিলাম। আমি সবসময় চেয়েছি যেনো কোনো কিছু করতে আমার কারো সাহায্য নিতে না হয়। আমি সেটাই করেছি। আমার এ পর্যন্ত খাবার বিক্রি হয়েছে প্রায় পনের লাখ টাকা। শুরুতে অর্ডার কম থাকলেও আমার কিছুদিনের মধ্যেই ক্রেতা বাড়তে থাকে এবং আমার বেশিরভাগই রিপিটেড কাস্টমার। আমি আজ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই এই পর্যায়ে এসেছি।

আমাকে আলহামদুলিল্লাহ্ আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি’।উদ্যোক্তা জীবনে এমন সফলতার রহস্য সম্পর্কে জানতে চাইলে রাখী বলেন, ‘আমার রান্নায় আমি ভেজালমুক্ত খাঁটি উপকরণ ব্যবহার করি। আমাদের গ্রামের মসলা, নিজেদের উৎপাদিত মরিচ, সবজি, শিদল, কেমিক্যাল মুক্ত চাল, ঘি, খাঁটি শর্ষের তেল এগুলো দিয়ে রান্না করি। বাজারের কেনা কিছু ব্যবহার করি না। তেলটা একদম খাঁটি হতে হবে। এটা জরুরি। আর রান্না হওয়া মাত্র গ্রাহকদের কাছে গরম খাবার পৌঁছাতে চেষ্টা করি’।

রুবাইদা রাখীর ইচ্ছা ব্যবসাটাকে আরও বড় করা। ছোট পরিসরে হলেও ঢাকায় একটি খাবারের রেস্টুরেন্ট দিতে চান তিনি। ব্যবসার পরিধি বাড়লে ঢাকা শহরের পথশিশুদের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা আছে তার।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS