ভিডিও

রুবি গজনবী প্রাকৃতিক রঙের জাদুকর

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৪, ০৬:৪০ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৪, ০৬:৪০ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

নিজের আলোয় ডেস্ক ঃ কারুশিল্প আন্দোলনের অন্যতম রুবি গজনবী। তিনিই প্রথম এদেশের মানুষের কাছে প্রাকৃতিক রং পরিচিত করে তোলেন। ২০২৩ সালে মারা যান তিনি।

রুবি গজনবী ১৯৩৫ সালের ১০ ডিসেম্বর ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু বাবার চাকরির সুবাদে কলকাতায় স্কুলজীবন অতিবাহিত করেন। তিনি লেখাপড়া করেন লরেটো স্কুলে। দেশভাগের পর ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন। এরপর তিনি শিক্ষকতা এবং সমাজকর্মে মনোনিবেশ করেন। 

রুবি গজনবী ১৯৮২ সালে প্রাকৃতিক রং এর প্রকল্প শুরু করেন। শুরুতে তিনি ছয়টি রং নিয়ে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে রঙের সংখ্যা আরও বাড়াতে থাকেন। ১৯৯০ সালে নিজের জমানো টাকা দিয়ে বনানীতে শুরু করেন প্রাকৃতিক রঙের পোশাকের শোরুম 'অরণ্য ক্র্যাফট'।

এটি দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যেখানে পোশাকে প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করা হয়। অনেক ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে তিনি প্রায় ৩০টি ভেষজ রং ঠিক করেন, যা থেকে পরবর্তীতে আরও বহু রং তৈরি করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি দেশে–বিদেশে প্রাকৃতিক রং ব্যবহারের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যান। তিনি 'নকশা' ও 'রঙিন' শিরোনামে দুটি বই লিখেন।

১৯৮৫ সালে পটুয়া কামরুল হাসানসহ সমমনা ব্যক্তিরা বাংলাদেশের কারুশিল্প ও কারুশিল্পীদের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদ। অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত রুবি গজনবী ওই প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিষদে ছিলেন।

তিনি ওয়ার্ল্ড ক্র্যাফটস কাউন্সিলের সম্মানিত সদস্য এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জাতীয় রঞ্জক কর্মসূচির চেয়ারপার্সন ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ট্রাস্টি ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সদস্য ছিলেন।

রুবি গজনবী অক্লান্ত পরিশ্রম করেন বাংলাদেশের কারুশিল্পীদের সারা বিশ্বে পরিচিত করাতে। জামদানির হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে ২০১৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত জামদানি উৎসবের তিনি ছিলেন অন্যতম উদ্যোক্তা। দেশের জামদানি শিল্পকে দেশের বাইরে পরিচিতি করাতে রুবি গজনবীর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS