ভিডিও

ভেড়া পালন করে সংসারে স্বচ্ছলতা এনেছেন পার্বতী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪, ০৯:১৬ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪, ০৯:১৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

নিজের আলোয় ডেস্ক : ভেড়া পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের নারীরা। অল্প পুঁজি ও শ্রমে লাভজনক ভেড়া পালন দিন দিন বাড়ছে। অনেকের অভাবের সংসারে এসেছে সচ্ছলতা। ঘিওর উপজেলার শ্রীধরনগর আদিবাসীপাড়ার তেমনই একজন স্বাবলম্বী নারী পার্বতী রানী বিশ্বাস (৬১)।

অসুস্থ স্বামীসহ অভাবের সংসারে ৬ সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণ ছিল খুবই কষ্টের। এই অবস্থায় পার্বতী শুরু করেন ভেড়া পালন। প্রথম একটি ভেড়ার বাচ্চা দিয়ে শুরু। ছয় বছরে এখন তার ভেড়ার সংখ্যা ২৬। প্রতিবছর ভেড়া বিক্রি করে তার আয় লাখ টাকার ওপরে।

উপজেলার চর কুশুন্ডা গ্রামের পারভিন আক্তার শখের বশে ছয় বছর আগে একটি ভেড়া পালন শুরু করেন। সেই ভেড়া থেকে এখন তিনি ২৬টি ভেড়ার মালিক। স্বামী কৃষিকাজ করেন। ভেড়ার বাচ্চা ও বড় ভেড়া বিক্রি করে সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন তিনি। শ্রীধরনগর গ্রামের মমতা মণ্ডল জানান, একটি ছোট ভেড়ার দাম ৩ হাজার এবং বড় ভেড়া ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা।

কম পুঁজি নিয়ে ভেড়া পালন শুরু করেন মমতা। তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রামের প্রায় ২৫টি পরিবার ভেড়া পালন করে সচ্ছলতা এনেছে। প্রান্তিক নারীদের ভেড়া পালনে উদ্বুদ্ধকরণ, খাবার, চিকিৎসা ও ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করে সহায়তা দিয়ে আসছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বারসিক।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার দুর্গাবাড়ি গ্রামের আরতি সরকার, শ্রীধরনগর গ্রামের অঞ্জলি বিশ্বাস, বড়টিয়া গ্রামের আমেলা বেগম, সফুরা বেগম, নালি গ্রামের শুকুরজান, আছিয়া, জাবরা চরের সাজেদা বেগম, ত্বরা গ্রামের আম্বিয়া, আকাশি বেগম, মাইলাঘী গ্রামের ঝরনা, স্কুলশিক্ষার্থী ফিরোজা আক্তার, আশাপুর গ্রামের হাফিজা বেগম, সামেলা, কাশেমপুর গ্রামের ওজিফা ও রাশেদা বেগম ভেড়া পালনে দেখেছেন সাফল্যের মুখ।

ভেড়া পালন করেই চলছে তাদের সংসার। বারসিকের বানিয়াজুরী আঞ্চলিক কর্মকর্তা সুবীর সরকার বলেন, এখানকার নারীরা পরিবারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য ভেড়া পালনে উৎসাহিত হচ্ছেন। প্রান্তিক নারীদের ভেড়া পালনে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া ছাড়াও তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।

ঘিওর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৩২ হাজারের বেশি ভেড়া পালন করা হয়। এসব ভেড়ার মাংস ও চামড়া থেকে বছরে আয় হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পার্বতী পাল জানান, ভেড়া পালনের মাধ্যমে দরিদ্র কৃষক, বেকার যুবক-যুবতী ও প্রান্তিক গৃহবধূরা জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি জাতিকে পুষ্টি সরবরাহ করছেন।

অন্য গবাদিপশুর চেয়ে ভেড়ার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, বাচ্চার মৃত্যুহার কম। প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে ভেড়া পালনে খামারিদের চিকিৎসা, নিয়মিত উঠান বৈঠক, ওষুধ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান পার্বতী।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS