ভিডিও

শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে ছোঁয়ান রং-তুলির মায়া

প্রকাশিত: মার্চ ০১, ২০২৪, ০৩:৩৪ দুপুর
আপডেট: মার্চ ০১, ২০২৪, ০৩:৩৪ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নিজের আলোয় ডেস্ক ঃ জামদানি, মসলিন, কাতান, সুতি, হাফসিল্ক মোটামুটি সব ধরনের শাড়ি একজন নারীর সংগ্রহে থাকে। বলা হয়, শাড়িতে নারীর সুখ লুকিয়ে থাকে। নিয়মিত পরার জন্য নারীরা বেছে নেন সুতি ও হাফসিল্ক শাড়ি। এসব শাড়ি সামলাতে বেগ পেতে হয় না। মেলে স্বস্তিও। এ ছাড়া সুতি, হ্যান্ডলুম, হাফসিল্কের শাড়িতে করা যায় মনের মতো রং।

শাড়িতে ফুটিয়ে তোলা যায় শিউলির স্নিগ্ধতা, নীল আকাশে ভেসে যাওয়া মেঘ, দিগন্তজোড়া কাশফুলের সারি, পেখম মেলে থাকা ময়ূর, সোনালি বনে ছোট পাখির ঝাঁক, মাধবীলতা বা মধুমঞ্জরীর বাহার। ফুটিয়ে তোলা যায় কদম, কৃষ্ণচূড়া, শাপলা, প্রজাপতিসহ আরও অনেক কিছু। শুধু কি তা-ই? প্রিয় লেখকের কোনো উক্তি, বইয়ের প্রচ্ছদ, কবিতার চরণ ইত্যাদি সবকিছুই মূর্ত করে তোলা যায় শাড়িতে। 

ফ্যাশন আর ঋতুর যুগলবন্দীতে এখন হ্যান্ডপেইন্ট শাড়ির বেশ রমরমা ব্যবসা। একজন শিল্পী বা নকশাকার তার শৈল্পিক সত্তার সবটা ব্যবহার করে শাড়িজুড়ে টুকরো টুকরো গল্প সাজিয়ে তোলেন। মনের প্রেম প্রতীয়মান হয় শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে। এ জন্যই হয়তো হাতে আঁকা শাড়ির কদর একটু বেশি।

সামনে আসছে ঈদ। ঈদের আনন্দ ধরে রাখতে চাইবেন সবাই পোশাকে। নতুন শাড়িতে নিজেকে রাঙিয়ে নেওয়ার তাই কমতি রাখলে চলবে না। দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো শাড়িতে ঋতু ও ঈদকেন্দ্রিক বিভিন্ন মোটিফ নিয়ে এসেছে। শাড়ির আঁচল ও জমিনে শোভা পাচ্ছে উৎসব। পিছিয়ে নেই অনলাইন উদ্যোক্তারাও।

ফেসবুক নির্ভর উদ্যোক্তারাও উৎসবকে কেন্দ্র করে এনেছেন নতুন মোটিফের শাড়ি। তবে হ্যান্ডপেইন্টের শাড়ির নকশা নির্ভর করে শিল্পী ও ক্রেতার চাহিদার ওপর। শিল্পী ঠিক তা-ই আঁকেন, যা ক্রেতা চান। কিছু কিছু শাড়ির জমিনজুড়ে আঁকা হয় হালকা নকশা।

আঁচলে ফুটিয়ে তোলা হয় আকর্ষণীয় ও কাক্সিক্ষত বিষয়। কখনো কখনো কুঁচিতে বিভিন্ন নকশা আঁকা হয়। মাঝে মাঝে জমিন ও পাড়ের রং ও ডিজাইনে দেখা যায় বৈপরীত্য। রঙের বৈপরীত্য আর শেডের দারুণ সমন্বয়ই হ্যান্ডপেইন্ট শাড়িকে অনন্য করে তোলে।

‘পঞ্চরং’-এর স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার সাদিকা তাসনিম মৃদু জানান, হ্যান্ডপেইন্টের চাহিদা বেশি বড় বড় শহরগুলোতে। বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে এই শাড়িগুলোয় বিভিন্ন বিষয় প্রাণবন্ত করে তোলা হয়। পঞ্চরং-এর শাড়িতে লতা, পাতা, ফুল ইত্যাদি বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। শরৎকে মাথায় রেখে শিউলি ও কাশফুলের আবেশে সাজানো হয়েছে অধিকাংশ শাড়ি বলে জানান সাদিকা।

শাড়িগুলোর পুরো জমিনে হালকা ফুলের কাজ করা হয়েছে। ‘র’ ফ্যাশন হাউসের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার জিন্নাতুন জান্নাত বলেন, ‘আমাদের কাছে ফ্লোরাল পেইন্টের শাড়িগুলোর অর্ডার বেশি আসে।’ গোলাপ, জবা ও অন্যান্য ফুলের ডিজাইনে চাহিদা বেশি থাকে। থিমভিত্তিক কাজও করে থাকেন তাঁরা। মসলিন শাড়িতে হ্যান্ডপেইন্ট করা হলে শাড়ির দাম শুরু হয় ৯ হাজার ৮০০ টাকা থেকে। সিল্ক, এন্ডি সিল্কের ফেব্রিকের ওপরও হ্যান্ডপেইন্ট করে র ফ্যাশন হাউস। সেগুলোর দাম শুরু হয় ১৩ হাজার টাকা থেকে।

যত্ন-আত্তি ঃ হ্যান্ডপেইন্টের শাড়ি পানিতে না ভেজানোই ভালো। ধুতে হলে কম ক্ষারযুক্ত তরল সাবানে ধুতে হবে। ভালো হয় ড্রাইওয়াশ করালে। হ্যান্ডপেইন্টের শাড়ি সরাসরি আয়রন করা যাবে না। উল্টো পিঠে আয়রন করতে হবে।
প্রতিবার ব্যবহারের পর শাড়ি ভালোভাবে শুকিয়ে তারপর ভাঁজ করে আলমারিতে রাখবেন। এতে শাড়ি ভালো থাকবে।
পোকামাকড় যেন শাড়ির ক্ষতি করতে না পারে, সে জন্য শাড়ির ভাঁজে শুকনো নিমপাতা রেখে দিন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS