ভিডিও

নবাবগঞ্জে জীবন সংগ্রামী  নারী নিলুফা বেগম  

প্রকাশিত: জুন ০৭, ২০২৪, ০৩:৫৭ দুপুর
আপডেট: জুন ০৭, ২০২৪, ০৮:৩৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে জীবন সংগ্রামী এক নারী নিলুফা বেগম(৪৪)। যিনি জীবনের পিছনের সব দুঃখ হতাশা আর বঞ্চনাকে পিছনে ফেলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। ব্যবসাসহ গরু হাঁস ও কবুতর পালন করে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের আঃ রফিকের মেয়ে নিলুফা। মা গাফুরন বিবি। বাবা মা জীবিত। নিলুফা বেগম জানান,- তার বাবার ২ স্ত্রীর মধ্যে ১ম স্ত্রীর একমাত্র মেয়ে তিনি। ১৯৯৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়। ১৫ বছর বয়সে ১ম সন্তান লিটন বাবুর জন্ম হয়। ১৭ বছর বয়সে জন্ম হয় ২য় ছেলে নুরনবীর আর ১৯ বছরে জন্ম হয় তার ৩য় ছেলে আলমের। স্বামী মাদকাসক্ত হওয়ায় ৩য় ছেলের জন্মের ৪৫ দিনের মাথায় তার সংসার ভাঙ্গে। এরপর সংসার চালাতে বাসাবাড়িতে কাজ করতে থাকেন।

গৃহকর্মীর কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় উত্ত্যক্তের শিকার হন। শেষে কোন উপায় না পেয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট গিয়ে তার জীবন কাহিনী বলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার সব কিছু শুনে তাকে একটি সেলাই মেশিন এবং সামান্য কিছু নগদ অর্থ দেন। এরপর তিনি সেলাইয়ের কাজ শিখেন। প্রথমে কাপড় কিনে নারী ও শিশুদের পোশাক তৈরি করার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় তার ব্যবসা। ব্যবসার জন্য বাজারে দোকান দেন।

বর্তমানে উপজেলার নিউ মার্কেটের ২৬ নং কক্ষে তার ছেলে ফয়সালের নাম দিয়ে একটি দোকান রয়েছে। সেই দোকানে সারাদিন কাপড় বেচাকেনাসহ সেলাইয়ের কাজ করেন। তিনি জানান এ ব্যবসা ছাড়াও একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে গরু পালন শুরু করেন। তার বাড়িতে রয়েছে ৬টি গরু ৩টি ছাগল ২০টি কবুতর সহ ১০ টি হাঁস। তিনি তার ব্যবসা ও গরু ছাগল পালন করে প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যের বাড়ি করার জন্য সাড়ে ৪ শতক জায়গা কিনেছেন। মাঠে জমি বন্ধকী নিয়েছেন ১০ কাঠা। তার ভাষায় প্রতি মাসে তার আয় প্রায় ২৫ হাজার টাকা। তার ছেলেদের মধ্যে ২ ছেলে শ্রমিকের কাজ করে এবং ১ ছেলে তার মাকে কাজে সাহায্য করে থাকে। শূন্য থেকে এ পর্যন্ত আসা এ নারীর আশা সরকারি ভাবে কিছু সহযোগিতার।   

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS