ভিডিও

জিআই পণ্য আদা নিয়ে দেশের গন্ডি পেরিয়ে কাকলী

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৪, ০৪:৫৪ দুপুর
আপডেট: জুন ২৮, ২০২৪, ০৪:৫৪ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নিজের আলোয় ডেস্ক ঃ তিনি সম্প্রতি কি-নোট স্পিকার হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন নেপালের একমাত্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সেখানে তিনি কথা বলবেন ই-কমার্স পণ্য হিসেবে আদার প্রচার-প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি নিয়ে। তিনি কাকলী তালুকদার, একজন উদ্যোক্তা, বলতে পারেন দেশীয় পণ্যের উদ্যোক্তা। শুরুটা হয়েছিল জামদানি শাড়ি নিয়ে কাকলী’স অ্যাটায়ারের মাধ্যমে। শুরু একদম শূন্য থেকে, ছিল না জামদানি নিয়ে কোনো ধারণা। তবে নিজের চেষ্টা, ইচ্ছাশক্তি, পরিশ্রম, আর নিষ্ঠা দিয়ে অল্প কিছুদিনেই সবার কাছে হয়ে উঠেছিলেন পরিচিত আর আস্থার মানুষে। শুধু তা-ই নয়, ভালোবেসে সবাই ডাকতেন ‘জামদানি রানি’ বলে। এই গল্পের শুরু প্রায় ৫ বছর আগে। তবে এখানেই থেমে থাকেননি কাকলী। শুধু নিজের জন্য নয়, চেয়েছিলেন সমাজের জন্য, দেশের জন্য কিছু করতে। আর সেই ভাবনা থেকে যুক্ত হয়েছিলেন ইডিসির সঙ্গে।

কাকলী তালুকদার, প্রেসিডেন্ট, ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, সংক্ষেপে ইডিসি। এখানেই শুরু হয় কাকলীর নতুন পরিচয়, নতুন পথচলা। ইডিসি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের ই-কমার্স সেক্টরে অবদান রাখছে নানাভাবে। ৫ ট্রাস্টি নিয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানটি দেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির গবেষণা, তথ্য ও জ্ঞানভিত্তিক সমৃদ্ধি নিয়ে কাজ করেছে। কাকলী বলেন,  রাজিব আহমেদের ব্রেইন চাইল্ড ইডিসি এবং তিনি উপদেষ্টা আর আমি ইডিসির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আমরা ইতোমধ্যে ডিজিটাল পল্লী প্রজেক্ট, ইউএনডিপির স্বপ্ন প্রজেক্টসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রজেক্টে কাজ করেছি। তবে বর্তমানে কাজ করছি সম্ভাবনাময় জিআই পণ্য নিয়ে। ময়মনসিংহের খাতুনে জান্নাত আপুর কাছ থেকে আইডিয়াটা এসেছিল। আমরা দেখলাম গত ১০ বছরে মাত্র ১১টি পণ্য জিআইভুক্ত হয়েছে, কিন্তু এমন আরও অনেক পণ্য রয়েছে। আমরা কাজ শুরু করার পর ২০২৩ সালে ১ বছরেই ১০টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। এ ছাড়া আরও ৭টি পণ্যের জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার প্রক্রিয়া চলমান। 

জিআই স্বীকৃতির মতো সরকারি বিষয়ে বেসরকারিভাবে কাজের বিষয়টি জানতে চাইলে কাকলী বলেন, কাজটি সরকারিভাবে হলেও এখানে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। পণ্যের জিআই স্বীকৃতির আগে দীর্ঘ একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সম্ভাবনাময় জিআই পণ্য খুঁজে বের করা, ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজসহ প্রাচীন সাহিত্য-পুঁথিতে কোনো উল্লেখ থাকলে তা খুঁজে বের করা এবং প্রমাণ হিসেবে তা তুলে ধরা, এমন গবেষণামূলক কাজগুলো আমরা ইডিসির সদস্যরা করি। তবে মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ে সরকার থেকে নানা সাহায্য পাই। তিনি আরও জানান, এই পুরো কাজটিই ইডিসির সদস্যরা করেন ভালোবেসে, যেখানে অর্থের কোনো আদান-প্রদান নেই। ইডিসির পাশাপাশি কাকলি তালুকদার নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে চলেছেন হোমমেইড খাবারের প্রচার-প্রসারে।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS