ভিডিও

জীবনযুদ্ধে টিকে থাকতে ‘রুলিবালা’ তৈরিই একমাত্র ভরসা

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৪, ০৫:৪০ বিকাল
আপডেট: জুলাই ১২, ২০২৪, ০৫:৪০ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

এসএম সাইফুল ইসলাম রাণীনগর (নওগাঁ) থেকে ঃ রুলিবালা তৈরিই বেঁচে থাকার একমাত্র ভরসা রাণীনগরের রুলিবালার। অসুস্থতার কারণে প্রায় ৫বছর আগে দুই কন্যা সন্তান রেখে মারা যান তার স্বামী আব্দুল খালেক। জায়গা জমি ঘর-বাড়ি বলতে কিছুই নেই। কোনমতে মাথা গোজার জন্য টিনের চালার একটি ঘরই অবলম্বন।

এক মুঠো ডালভাত জোগার করতে দু-চোখে যখন অন্ধকার দেখছিলো ঠিক সেই সময় প্রতিবেশি একজনের মাধ্যমে জানতে পারে রাণীনগরে এক মহাজনের রুলিবালা তৈরি করে দিলে কিছু টাকা দেয়। শেষ ভরসার গন্তব্য এখন দুই কন্যা আর সুরভীর বালা তৈরিতে মিশি যাচ্ছে। সেখান থেকে যা আয় হয় দুই মেয়ের পড়া-লেখার খরচসহ দু-মুঠো খেয়ে বেঁচে আছি এমনটাই বলছেন সুরভী। 

জানা গেছে, উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের আব্দুল খালেক প্রায় ১৬ বছর আগে নওগাঁ সদর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের মৃত মোয়াজ্জেম মোল্লার মেয়েকে বিয়ে করে। শুরুতেই অভাবের সংসার ছিলো। স্বাী-স্ত্রী দুইজনই ছিলো কর্মঠ। বাসা-বাড়িসহ বিভিন্ন ক্ষেত খামারে কাজ করতো তারা। ইতিমধ্যে তাদের ঘর আলোকিত করে আসে দুই কন্যা রোখসানা (১২) ও রোমানা (৯)। বর্তমানে রোখসানা আতাইকুলা জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণী ও রোমানা স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে। অভাব-অনটনের সংসারে যে কোন সময় তাদের পড়ালেখা বন্ধ হতে পারে এমনটাই আতংক দুই বোনের। 

সুরভী বেগম জানান, আমার স্বামীর কোন জায়গা-জমি নেই এমনকি বসতবাড়িরও করুণ অবস্থা। বিয়ের পর থেকে অভাব-অনটনের সাথে যুদ্ধ করছি। স্বামী সুস্থ থাকা অবস্থায় নানা ধরনের কাজকাম করে কোন রকমে সংসার চলতো। ৫বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার কারণে রোজগাড়ের সব পথ আমার বন্ধ হয়ে যায়। দুই মেয়েকে নিয়ে অসহায় অবস্থায় পড়ি। একপর্যায় স্থানীয় সাততারা নামক স্থানীয় এনজিও প্রায় ২বছর আগে সাবলম্বী হওয়ার জন্য একটি বোকনা বাছুর আমাকে দেয়। সেটা লালন-পালন করছি। জীবন সংগ্রাম সহজ করতে বর্তমানে আমি দুই মেয়েকে নিয়ে রুলিবালা তৈরি করে যে আয় করছি সেটা দিয়েই সংসার চলছে। 

মিরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নে সুরভীর বসবাস। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে নানা অভাব অনাটনের মধ্যে তার দুই কন্যা সন্তান নিয়ে সংসার চলে। বিশেষ কোন আয় রোজগারের পথ না থাকায় রুলিবালা তৈরি করে সংসার চালান তিনি। সরকারিভাবে বিধবা ভাতা পেলেও তার বসত বাড়ির করুণ অবস্থা। আমার পরিষদের মধ্যমে ঘরবাড়ির কোন সুযোগ এলে আমি তাকে ঘরের ব্যবস্থা করে দিবো।  
    

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS