ভিডিও

কনার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২৪, ০৫:১০ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২৪, ০৫:১০ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

নিজের আলোয় ডেস্ক ঃ ব্যবসায়ী বাবার মেয়ে কামরুন নাহার কনা জন্ম ও বড় হওয়া টাঙ্গাইলে। পড়াশোনার জন্য ২০০১ সাল থেকে ঢাকায় থাকতে শুরু করেন । টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতীতে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার একটি গ্রামে তাদের বসবাস ছিল। বৈবাহিক সূত্রে বর্তমানে ঢাকায় আছেন। ডাক্তার হওয়ার খুবই ইচ্ছে ছিল, হতে পারেননি। ব্যাংকের চাকরির দুইবার সুযোগ পেলেও সন্তান ছোট থাকায় সেটাও সম্ভব হয়নি।

তাই ২০১২ সাল থেকে অফলাইনে ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৮ সালের ১০ মে একটি পেইজ ওপেন করেছিলেন কিন্তু সেটি আর কন্টিনিউ করেননি। এই করোনার কারণে ব্যবসাটাকে আবার অনলাইনে কন্টিনিউ করার চেষ্টা করে আবার চাকরি করার সুযোগও নেই। পোস্ট গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে ২০১২ সালে ঢাকা লালমাটিয়া মহিলা কলেজ থেকে । স্বাধীনভাবে কাজ করে মেধার ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানোর চিন্তা থেকে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা। 

উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু যেভাবে ঃ মূলত গতানুগতিক ধারায় কনা ডাক্তার হতে চেয়েও পারেননি, তারপর থেকে নিজে কিছু করার অনেক ইচ্ছা ছিল, করোনাকালীন সময়ে  তার ব্যবসা একদম বন্ধ হয়ে যায়। বাসায় বসে তার মনে হচ্ছিলো ব্যবসা অনলাইনে করতে পারলে মন্দ হত না, নিজের যদি আলাদা একটা পরিচয় তৈরি করতে পারেন তাহলে ভাল হয়, ঠিক তখনি নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করেন। ঠিক এই সময় একদিন ফেসবুকে ব্যবহার করতে করতে উই গ্রুপের সন্ধান পান, সেখানে হাজারও উদোক্তা। তাদের দেখে আরও বেশি অনুপ্রাণিত হন। টিউশনির কিছু জমানো টাকা দিয়ে শুরু করেছিলেন এরপর তার এক ভাবি ফ্রেন্ডের মত তাকে সাপোর্ট করায় ২০১৮ সালে মিরর নামে ফেসবুকে পেইজ খুলেন ।

ক্যারিয়ারে ই-কমার্স বেছে নেওয়ার কারণ ঃ কনার চাকরি করার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ভাবলেন চাকরিতে ব্যক্তিস্বাধীনতা কম। আবার চাকরি করলে হয়ত অল্প কিছু সংখ্যক বাক্তির সাথে পরিচিত হতে পারা যায়। সেখানে উদ্যোক্তা হয়ে উঠলে সারাদেশেই পরিচিত হওয়া যায়। তার প্রোডাক্ট ছড়াবে সারাদেশে এই ভাবনা থেকেই কনার এগুনো।

কি কি পণ্য বিক্রি করেন ঃ প্রথম কয়েকদিন কনা শুধু চিন্তা করেন কোন বিষয়ে তিনি বেশি দক্ষ। এই ভাবনা থেকে তার একদিন মনে হলো তার বাবা কাপড়ের ব্যবসায়ী। যেহেতু বাড়ি টাংগাইলে তাই টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে কাজ শুরু করার চিন্তা করেন। এরপরে জামদানি শাড়ি, হাফ সিল্ক শাড়ি, সিল্ক,শাড়ি ও তাঁতের শাড়ি নিয়ে কাজ এগিয়ে চলার চেষ্টা করেন। কনা বলেন, মাত্র ১৫০০০ টাকা থেকে শুরু করেছিলাম আমার স্বপ্ন , তারপর আমি উই’র এক এডমিনের কথা মত একটিভ থেকে সুফল পাই । বর্তমান প্রোডাক্ট লাইনে আছে আমার টাঙ্গাইলের জামদানি, টাঙ্গাইলের হাফ, সিল্ক সিল্ক ও তাঁতের শাড়ি । ভবিষ্যতে  আমি আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের শাড়ির ঐতিহ্য ধরে রাখতে চাই এবং আমার প্রোডাক্ট সারাদেশ সহ বিদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।

নারী উদ্যোক্তা মানেই চ্যালেঞ্জ। কারণ সমাজ আর যাই হোক নারী কিছু করবে সেটা ভাল ভাবে গ্রহণ করে না। বিশেষ করে যারা পরিবার সামলিয়ে উদ্যোক্তা হন। সন্তান ও সংসার সামলিয়ে কাজ করা চ্যালেঞ্জ। তবে কনার ক্ষেত্রে পারিবারিক বাধা ছিল তার শাশুড়ির পক্ষ থেকে। প্রথম থেকেই কনা তার স্বামীর সাপোর্ট পেলেও  সামাজিক বাধা টা বেশি ছিল, কটু কথা, সমালোচনা এইগুলো যত হয়েছে তত তার জেদ টাও বেড়েছে।

কনা জানান, তার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার জন্য সবচেয়ে বড় অবদান উই এর। কারণ কনা প্রথমে উদ্যোক্তা হওয়ার কথা তার পরিবারকেও বলেননি।  কিন্তু ভার্চুয়ালি অনুপ্রাণিত হয়েছেন উই থেকে। কিভাবে একজন উদ্যোক্তা হওয়া যায়, কিভাবে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং তৈরি করবেন, কিভাবে পরিচিতি বাড়াবেন সব উই থেকেই শেখা। উই ছিল বলেই তার উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বলে জানান। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS