ভিডিও

একপায়ে বক

তোয়াবুর রহমান

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ০৫:২১ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ০৫:২১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

হাটু ভাঙা বিল। সারা বিল জুরে একটা মাথা ভাঙা তালগাছ। গাছটা বহু বছর ধরে ওভাবেই দাঁড়িয়ে আছে। মাছে মাঝে মাঝে মনে হয় কালের সাক্ষী। দুই পুরুষ ধরে দেখে আসছি গাছটা। গাছটার ঠিক নিচে বয়রা কাকার পুকুর বিলের সমস্ত মাছ যেন ওখানে এসে বসবাস করে। সেখানে হাজারো বকের আনাগোনা হয় শেষ বিকেলে। দেখতে ভালো লাগে যেন প্রতিযোগিতায় মাছ খাওয়ার ধুম পরেছে। শুধু কি আমি, অনেক মানুষ এসে দেখছে বিলের পূর্ব পাড় কলেজের মাঠে দাঁড়িয়ে। দেখতে দেখতে হঠাৎ নজরে আসে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা বক গুলো,মাথাটা নিচে করে ঠোটের নিশানা ঠিক রেখে দাঁড়িয়ে আছে । ওরা শিকার পেলেই খব করে ধরে ফেলবে। আমি অবাক হয়ে ভাবি বকগুলোর এক পা কেন , ছোট মানুষ বুঝতাম না এর কারন । ধান্দা মেরে বসেছি ঘাসের উপর  সূর্য ডুবু ডুবু ভাব অনেকে চলে গেছে ঘরে কিন্তু আমি শেষটা দেখার জন্য বসে রইলাম
বকগুলো ঠিক আমারি মতো ওভাবেই দাঁড়িয়ে রইলো সূর্য ডুবে গেছে সাঁঝের আগমন। দুরে এক দানবিও চেহারায় কে যেন আসছে এগিয়ে  ঘারে লম্বা কি একটা ঝুলিয়ে রেখেছে অস্পষ্টতায় ঠিক বুঝতে পারলাম না। কাছে গিয়ে বুঝলাম শিকারী বক মারতে এসেছে। এবার বসে থাকার অবসান ঘটবে। যেই না শিকারী গুলি করেছে বকগুলো উড়ে গেলো দু পা তুলে ডানা মেলে । একটু অবাক হয়ে হাসলাম হি হি করে আর ভাবলাম কতোটা বোকা আমি বুঝতেই পারিনি যে ওরা এক পা গুজে রেখেছে পালকের ভিতরে । বার বার গুলি করে শিকারী বেশ কিছু বক ধরেছে, কারো গা বেয়ে ঝড়ছে রক্ত, কারো চোখ থেতলে গেছে আবার কারো ডানা ভাঙা মাথায় গুলি বিভিন্নভাবে আহত হয়েছে পাখিগুলো। দেখে ভিষন খারাপ লাগলো এই তো কিছুক্ষণ আগেও আমি ওদের সাথে সময় কাটালাম এখন ওরা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ভাবছি যদি ওদের কারো নীড়ে ছোট বাচ্চা থাকে তাহলে কি হবে না খেয়ে মারা যাবে । নানান চিন্তা শেষে আমি শিকারীকে বললাম চাচ্চু আর মেরো না, ওদের ছানাগুলো এতিম হবে ওদের নীড়ে ফিরে যেতে দাও। শিকারী আমার কথা রাখলো আর চলে গেলো। আমিও মনটা ভীষন খারাপ করে ফিরে গেলাম ঘরে। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS