ভিডিও

বর্ষার দিনে ভিজতে মজা

সাঈদুর রহমান লিটন

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ০৫:৩৪ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ০৫:৩৪ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। থামার নাম গন্ধ নেই। বৃষ্টি নেমেই যাচ্ছে। চারপাশ বৃষ্টির জলে ভরে যাচ্ছে। খাল বিল, নদী, নালা সব কিছুই পানিতে  টইটম্বুর। দেখতেও দারুণ লাগে। বৃষ্টিতে গোসল করার লোভ সামলাতে পারে না বাপ্পি। বৃষ্টি শুরুর পর সে বারান্দার খুঁটি ধরে আছে। কখন গোসল করতে নামবে একবার নেমেই গেলো। দারুণ মজা হচ্ছে বৃষ্টিতে ভিজে। বাপ্পির দেখা দেখি নেমে গেলো বাপ্পির চাচাত বোন শিশু শ্রেণির ছাত্রী মুসলিমা। বাড়িতে টিনের ঘর আছে। টিনের চালের পানি একসাথে বেশি করে পড়ে। অনেকটা ঝরনার পানির মতো। উপর থেকে কে জানি পানি ঢালতেই থাকে এমন। প্রবল বৃষ্টি। টিনের চালের পানির ধারাও প্রবল। মুসলিমা আর বাপ্পি সেই ধারাতে গোসল করছে। সে এক অন্য রকম অনুভূতি এমন বৃষ্টির ধারায় গোসল করা। পাহাড়ি ঝরনার জলে গোসল করার স্বাদ। 
কাকনও নেমে গেলো গোসল করার জন্য। কাকন মুসলিমার একমাত্র ভাই। বাপ্পির চাচাত ভাই অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। বাপ্পি সপ্তম শ্রেনির। 
তিন ভাই বোন নাওয়া শুরু করেছে। দৌড়াদৌড়ি করছে। ছুটাছুটি করছে। 
বাড়িতে হাঁস আছে। এক ঝাঁক হাঁস।  বৃষ্টির পানি পেয়ে 
প্যাঁক প্যাঁক ক্যাঁক করে চেচামেচি করে যাচ্ছে আনন্দে।
এখানে সেখানে ছুটছে। সব জায়গায় পানি। মনের আনন্দে সাঁতার কাটছে। ব্যাঙগুলো ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ করে গান গেয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ওদের বাড়িতে কোন অনুষ্ঠান। সবাই মিলে মিশে গান করছে। হলুদ হলুদ ব্যাঙ। দেখতে অসাধারণ সুন্দর মনে  হয়। ওরা তিন ভাই বোন ব্যাঙ ধরার জন্য চেষ্টা করছে। কিন্তু ব্যাঙ ধরতে পারছে না। ব্যাঙ ধরতে গেলে ডুব দিয়ে অনেক দূর চলে যায়। ভারি বজ্জাত ব্যাঙ। ব্যাঙ ডাকলে মুখের দুই পাশে ফুলে যায়। তখন অদ্ভুত রকমের দেখা যায়। 
তবুও অনেক সুন্দর লাগে। ভর বৃষ্টিতে ব্যাঙ ডাকে না। বৃষ্টি কম থাকলে বা বৃষ্টি নামার পরে ব্যাঙ ডাকতে থাকে। এখন বৃষ্টি নাই। তারা অনেক মজা করছে। যেমন মজা করছে কাকন, মুসলিমা, বাপ্পি। কিছুক্ষণ আগে বাপ্পির আম্মু রাগারাগি করে গেল। এখন পানি থেকে ওঠার জন্য। ঠাণ্ডা জ্বর হতে পারে, কাঁশি হতে পারে। সবচেয়ে বড় সমস্যা মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। ডাক পড়তে পারে। কোন মানুষের উপর ডাক পড়লে আর বাঁচে না। ডাক পড়া ভয়ানক বিপদ জনক। বাপ্পির  মা এসব কথা রেগেমেগে উচ্চস্বরে বলে গেল। কার কথা কে শোনে? ওরা বৃষ্টিতে ভিজতেই লাগলো। বাড়ির পাশের খালে গোসল করতে লাগলো।ছুটাছুটি করতে লাগলো। উচ্ছ্বাসের সাথে সাথে আর উল্লাস করতে লাগলো। ইতিমধ্যে একটি ডোরা সাপ পানিতে সাঁতার কাটা দেখে, সাপ সাপ বলে চেঁচিয়ে  দৌড়ে সবাই পানি থেকে উঠে এলো। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS