আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশের ছয় ছাত্রনেতার ওপর ভারতের ভিসা নিষেধাজ্ঞার খবরটি ভুয়া। প্রতিবেশী দেশটির সংবাদমাধ্যমে দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বেশকিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে ভারত ৬ ছাত্রনেতার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কিন্তু রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতের সরকারি সূত্র জানিয়েছে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুয়া। ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যে ৬ জন ছাত্রনেতার কথা বলা হয়েছে তারা হলেন-গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও নুসরাত তাবাসসুম। বাংলাদেশি মিডিয়াগুলোর একাংশের প্রকাশিত এসব প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ‘ভারতবিরোধী’ মনোভাব জাগানোর জন্য ওই ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী দেশটি এই ‘পদক্ষেপ’ নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘ছয় ছাত্রনেতার ওপর ভারতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা’ শীর্ষক একটি সংবাদ গতকাল রোববার প্রকাশ করে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর এশিয়া। এতে সংবাদমাধ্যমটি দাবি করে, ভারতবিরোধী জনতাকে উস্কে দেওয়া ও ভারতের জাতীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে বাংলাদেশের ছয় ছাত্রনেতা ও তাদের ঘনিষ্ঠজনদের ভিসা না দেওয়ার জন্য কালো তালিকাভুক্ত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দিল্লিতে কর্মরত ভারতীয় গণমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিক দ্য মিরর এশিয়াকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। এমনকি ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত মৌখিক নির্দেশনা ঢাকাস্থ ইন্ডিয়ান হাইকমিশনে পাঠানো হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমটি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।