ভিডিও

অবরুদ্ধ জেনিনে খাদ্য-পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরয়েলি বাহিনী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৪, ০৪:১৭ দুপুর
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৪, ০৭:২৪ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে রোববার টানা পঞ্চম দিনের মতো অভিযান চালাচ্ছে বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী। অভিযানের অংশ হিসেবে জেনিনে খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এছাড়া ওই এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী স্বাস্থ্য সুবিধাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে ও অ্যাম্বুলেন্সকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ফরাসি চিকিৎসা দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস-এমএসএফ। খবর : আল জাজিরা 

জেনিন থেকে পালিয়ে যাওয়া এক বাসিন্দা তাহের আল-সাদি আল জাজিরাকে বলেছেন, শরণার্থী শিবিরের ভেতরে খাদ্যসহ সব ধরনের মৌলিক চাহিদা বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই এলাকায় আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি সেখানকার দোকানপাট ও রাস্তাঘাট বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। রোববার সেখানে আরও ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। গত বুধবার কোনও ধরনের ঘোষণা ছাড়াই জেনিনে বড় ধরনের অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সাঁজোয়া যান, ড্রোন ও স্নাইপারদের সহায়তায় শত শত ইসরায়েলি সেনা এ অভিযান শুরু করে।

জেনিন পৌরসভা জানিয়েছে, ৫ দিনের অভিযানে শহরের প্রায় ৭০ শতাংশ রাস্তাঘাট ও ২০ কিলোমিটার পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর ফলে জেনিনের ৮০ শতাংশ শরণার্থী শিবিরের ২০ হাজার মানুষ তীব্র পানির সংকটে ভুগছে। কয়েক দশকের মধ্যে চালানো ধ্বংসাত্মক অভিযান ৫ দিনে অন্তত ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

জেনিন শহর থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক নিদা ইব্রাহিম জানিয়েছেন, সেখানে আমার দেখা সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক অভিযান এটি। তিনি বলেন, ‘সামরিক বাহিনীর দখলে থাকা ফিলিস্তিনিদের নিজের শহরের ওপর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। শহরের রাস্তাঘাট তার নিজের নয়। নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা, তা তিনি জানেন না। এমনকি তার বাড়িটি নিরাপদ আছে কিনা, তাও তিনি জানেন না।’

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS