আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বেসামরিকদের স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে মিয়ানমার জান্তা বাহিনী। গত ছয়দিনে মিয়ানমার জান্তা স্কুল, বাজার, শহর, আইডিএফ ক্যাম্পে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক ডজন শিশু রয়েছে। মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের দখলে থাকা ভূখণ্ড উদ্ধারে পাল্টা হামলার অঙ্গীকার করেন মিয়ানমার জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং। তার এমন হুঁশিয়ার বার্তার পরেই বেসামরিকদের স্থাপনায় হামলার পরিমাণ বেড়েছে। বেসামরিকদের ওপর যুদ্ধাপরাধ বন্ধে দেশটির বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলো জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আসিয়ানের প্রতি জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান পুনরায় ব্যক্ত করেছে। ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিন, শান এবং কারেন্নি প্রদেশে এবং ম্যাগউই, সাগাইং, মান্দালা অঞ্চলে বেসামরিকদের লক্ষ্য করে সিরিজ হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী। রোববার থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় কয়েক ডজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
গত শুক্রবার বিকালে জান্তা বাহিনী যুদ্ধ বিমান থেকে ৩০০ পাউন্ডের বোমা মাইয়াংয়ের লাত ইয়াত মা গ্রামের এক স্কুলে ফেলা হয়। সেইসঙ্গে মেশিনগান দিয়েও হামলা চালানো হয়েছে। এতে অন্তত ছয়জন নিহত হয়। আহত হয়েছে অন্তত ১০জন। একইদিনে মান্দালয় অঞ্চলের নাটোগি টাউনশিপ এবং চিন রাজ্যের মিন্দাত টাউনশিপের গ্রামে জান্তা বিমান হামলায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে চীনা সীমান্তবর্তী অঞ্চলের কাছে হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী। এতে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১১ জন। সেইসঙ্গে ধ্বংস হয় ছয়টি বাড়ি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।