শ্রীলঙ্কায় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২০২২ সালে ধসে পড়েছিল শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। এরপর দেশটিতে দেখা দিয়েছিল গণঅভ্যুত্থান। দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। পরে তার বাকি মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্টের পদে বসেছিলেন রনিল বিক্রমাসিংহে।
সেই মেয়াদও শেষ। ফলে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দিচ্ছেন লঙ্কানরা।
জানা গেছে, এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট ৩৮ জন প্রার্থী আছেন। আজ স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। রোববার ফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী হলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। এর আগে একাধিকবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন রনিল। সংকটের সময় আইএমএফ-এর থেকে অর্থসাহায্যও নিয়ে এসেছেন তিনি।
তবে রনিলকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন মূলত দু'জন। তার মধ্যে একজন হলেন অনুরা কুমারা দিশানায়েকে। তিনি বামপন্থি দল জনতা বিমুক্তি পেরামুনার নেতা। ২০২২ সালের গণঅভ্যত্থানে তাদের অবদান ছিল। অপর চ্যালেঞ্জার হলেন সজিথ প্রেমাদাসা। সাবেক প্রেসিডেন্টের ছেলে বর্তমানে প্রধান বিরোধী দলের নেতা। ২০১৯ সালেও তিনি লড়েছিলেন ভোটে। তবে গোতাবায়ার কাছে হারতে হয়েছিল।
নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মাহিন্দা রাজাপাকসের বড় ছেলে নামাল রাজাপাকসে। তিনি গোতাবায়া রাজাপাকসের ভাতিজা। তবে ২০২২ সালের অর্থনৈতিক সংকটের জন্য রাজাপাকসে পরিবারের প্রতি মানুষের সমর্থন নেই।
নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হতে হলে একজন প্রার্থীকে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে। অন্যথায় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুইজনকে দ্বিতীয় রাউন্ডে লড়াই করতে হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।