জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ চায় ফিলিস্তিন। পৃথিবীর বৃহত্তম বৈশ্বিক এই সংস্থার ফিলিস্তিন প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে এ বিষয়ক তৎপরতা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধি দলের প্রধান রিয়াদ মনসুর।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিকে মনসুর বলেন, ‘জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের পক্ষে আমরা একটি স্বাক্ষর অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছি। শিগগিরই সেসব স্বাক্ষর সম্বলিত একটি আবেদনপত্র সাধারণ পরিষদে জমা দেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, বুধবার ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে ইসরায়েল স্বীকৃতি দেবে কি না’— প্রস্তাবের ওপর ভোট হয়। নেসেটের ১২০ জন সদস্যের মধ্যে ৯৯ জনই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার বিপক্ষে ভোট দেন। তার এক দিন পরই আনাদোলু এজেন্সিকে এই সাক্ষাৎকারটি দেন রিয়াদ মনসুর। নেসেটের সাম্প্রতিক ভোট প্রসঙ্গে আনাদোলু এজেন্সিকে তিনি বলেন, ইসরায়েলের পার্লামেন্টের আলোচনা-ভোট নিয়ে ফিলিস্তিন উদ্বিগ্ন নয়।
‘ফিলিস্তিনিদের স্বাধিকার এবং স্বাধীনতা সম্পর্কিত যে ইস্যুতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের এক্তিয়ার একমাত্র ফিলিস্তিনের জনগণের। কারো অনুমতির ওপর আমাদের স্বাধীনতা নির্ভরশীল নয়।’
‘ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিনের ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয় এবং বিভিন্ন দেশ যদি ইসরায়েলকে অস্ত্রস সরবরাহ বন্ধ করে, আপাতত সেটিই যথেষ্ট। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন এ বিষয়ে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়, সেজন্য সাধারণ পরিষদের আলোচনায় আমরা এটি প্রস্তাব আকারে তোলার চেষ্টা করছি।’
২০১২ সালে ‘পর্যবেক্ষক’ হিসেবে জাতিসংঘে প্রবেশের অনুমতি পায় ফিলিস্তিন। এই পরিচায়ভূক্ত দেশ বা ভূখণ্ডগুলো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আলোচনা-বিতর্কে যুক্ত হতে পারে, তবে কোনো প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেওয়ার এক্তিয়ার এদের নেই।
জাতিসংঘের সনদ অনুসারে, কোনো দেশ যদি এই সংস্থার সদস্য হতে চায়, সেক্ষেত্রে তাকে প্রথমে জাতিসংঘের সবচেয়ে ক্ষমতাধর অঙ্গসংস্থা নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ জোগাড় করতে হয়। আবেদনপত্রের সঙ্গে সেই সুপারিশ সংযুক্ত করলেই কেবল দেশটিকে সদস্যপদ দেওয়ার ব্যাপারটি বিবেচনা করে সাধারণ পরিষদ।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, ‘আল আকসা অঞ্চলে যে দু’টি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে— এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিয়েছিল ১৯৪৭ সালে। নানা কারণে সেটির বাস্তবায়ন এখনও অসম্পূর্ন।’
‘এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের একান্ত অনুরোধ— ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দিয়ে সেখানকার নিপীড়ত, অসহায় জনগণের পাশে থাকুন।’
পৃথিবীর বৃহত্তম বৈশ্বিক এই সংস্থার ফিলিস্তিন প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে এ বিষয়ক তৎপরতা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধি দলের প্রধান রিয়াদ মনসুর।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিকে মনসুর বলেন, ‘জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের পক্ষে আমরা একটি স্বাক্ষর অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছি। শিগগিরই সেসব স্বাক্ষর সম্বলিত একটি আবেদনপত্র সাধারণ পরিষদে জমা দেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, বুধবার ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে ইসরায়েল স্বীকৃতি দেবে কি না’— প্রস্তাবের ওপর ভোট হয়। নেসেটের ১২০ জন সদস্যের মধ্যে ৯৯ জনই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার বিপক্ষে ভোট দেন। তার এক দিন পরই আনাদোলু এজেন্সিকে এই সাক্ষাৎকারটি দেন রিয়াদ মনসুর। নেসেটের সাম্প্রতিক ভোট প্রসঙ্গে আনাদোলু এজেন্সিকে তিনি বলেন, ইসরায়েলের পার্লামেন্টের আলোচনা-ভোট নিয়ে ফিলিস্তিন উদ্বিগ্ন নয়।
‘ফিলিস্তিনিদের স্বাধিকার এবং স্বাধীনতা সম্পর্কিত যে ইস্যুতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের এক্তিয়ার একমাত্র ফিলিস্তিনের জনগণের। কারো অনুমতির ওপর আমাদের স্বাধীনতা নির্ভরশীল নয়।’
‘ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিনের ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয় এবং বিভিন্ন দেশ যদি ইসরায়েলকে অস্ত্রস সরবরাহ বন্ধ করে, আপাতত সেটিই যথেষ্ট। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন এ বিষয়ে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়, সেজন্য সাধারণ পরিষদের আলোচনায় আমরা এটি প্রস্তাব আকারে তোলার চেষ্টা করছি।’
২০১২ সালে ‘পর্যবেক্ষক’ হিসেবে জাতিসংঘে প্রবেশের অনুমতি পায় ফিলিস্তিন। এই পরিচায়ভূক্ত দেশ বা ভূখণ্ডগুলো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আলোচনা-বিতর্কে যুক্ত হতে পারে, তবে কোনো প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেওয়ার এক্তিয়ার এদের নেই।
জাতিসংঘের সনদ অনুসারে, কোনো দেশ যদি এই সংস্থার সদস্য হতে চায়, সেক্ষেত্রে তাকে প্রথমে জাতিসংঘের সবচেয়ে ক্ষমতাধর অঙ্গসংস্থা নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ জোগাড় করতে হয়। আবেদনপত্রের সঙ্গে সেই সুপারিশ সংযুক্ত করলেই কেবল দেশটিকে সদস্যপদ দেওয়ার ব্যাপারটি বিবেচনা করে সাধারণ পরিষদ।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, ‘আল আকসা অঞ্চলে যে দু’টি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে— এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিয়েছিল ১৯৪৭ সালে। নানা কারণে সেটির বাস্তবায়ন এখনও অসম্পূর্ন।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।