আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে কোনো ধরনের বসতি সম্প্রসারণকে অবৈধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে এ ধরনের দখলদারিত্বকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনও বলেছে দেশটি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরকারের সম্প্রতি বসতি সম্প্রসারণের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় গত শুক্রবার হোয়াইট হাউস আনুষ্ঠানিকভাবে এ কথা জানায়।
মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন শুক্রবার পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের বিষয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের এ ধরনের পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। যদিও এর আগে এ ধরনের অবৈধ দখলদারিত্বে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সম্মতি ছিল। ব্লিংকেন আর্জেন্টিনায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের প্রশাসন বসতি সম্প্রসারণের কঠোর বিরোধী অবস্থানে রয়েছে।
আমাদের বিবেচনায় এমন দখলদারিত্ব ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে শক্তিশালী তো করেই না, বরং দুর্বল করে।’ মার্কিন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ব্লিংকেনের কথার আগে সিদ্ধান্তটি হোয়াইট হাউসে ঘোষণা করা হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার আরও তিন হাজার নতুন বসতি স্থাপনের অনুমোদনের পরিকল্পনা ঘোষণা করে নেতানিয়াহু সরকার। দেশটির অতিডানপন্থি ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এ ঘোষণা দেন। তিলি বলেছিলেন, ‘গোটা ইসরায়েলি ভূমিই আমাদের চিরন্তন আঁকড়ে ধরার অংশ।’
এ বিরোধিতার বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘বসতিগুলো অবৈধ ঘোষণার মাধ্যমে আমরা কেবল মৌলিক বিষয়টি নিশ্চিত করছি। কারণ, এ ধরনের বসতি গড়া আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।’
এদিকে দক্ষিণ গাজার রাফায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।
গাজার দেইর এল-বালাহ অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়শিবিরের পাশে একটি বাসভবনে হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৬০৬ জনে। আহত প্রায় ৭০ হাজার।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।