জাপানের ১ হাজার ২৫০ বছর পুরোনো ‘নগ্ন উৎসবে’ প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছেন নারীরা। গত বৃহস্পতিবার দেশটির মধ্যাঞ্চলের একটি ধর্মীয় উপসানলয়ে এই উৎসব হয়।
এতে গোলাপী রঙের একটি দঁড়ি সাজিয়ে তোলেন তারা। যেটি দিয়ে বাঁশের তৈরি একটি ট্রাঙ্ক টেনে আনা হয়। উৎসবে অংশ নেওয়া নারীরা বেশ উৎফুল্ল ছিলেন।
নারীদের সাতটি দল এই উৎসবে অংশ নিয়েছিল। বলা হয়ে থাকে, এই উৎসবের মাধ্যমে শয়তানকে দূর করা হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারীরা মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করে থাকেন। এটির নাম ‘নগ্ন উৎসব’ হলেও; এতে কোনো নারী নগ্ন ছিলেন না।
উৎসবে অংশ নেওয়া নারীরা “হাপ্পি কোর্টস’ ও হাফপ্যান্ট পরেছিলেন। যেগুলো সাধারণত জাপানের উৎসবগুলোতে পরা হয়। অপরদিকে পুরুষরা পরেছিলেন লইনক্লথস। যেটি সুমো রেসলাররা সাধারণত পরে থাকেন।
৫৯ বছর বয়সী এক নারী অংশগ্রহণকারী উল্লাস প্রকাশ করে বলেন, “আমি শুনেছি নারীরাও এতে অংশ নিতে পারবে। ফলে শহরে আনন্দ ও উল্লাস আনার জন্য আমি এতে যোগ দিতে চেয়েছিলাম।”
নারুহিতো সুন্দোয়া নামের ওই উপসানলয়ের এক ভিক্ষু জানিয়েছেন, এই উৎসবে নারীদের কখনো নিষিদ্ধ করা হয়নি। এমনকি ব্যক্তিগতভাবে অনেক নারী এসে প্রার্থনা করেছেন। তবে গত বছর নারীদের একটি সংস্থা জানতে চায়, তারা দলগতভাবে এতে যোগ দিতে পারবেন কি না। তখন জানানো হয় তারা পারবেন।
তিনি বলেছেন, “আমি মনে করি যে জিনিসটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেটি হলো উৎসবটি সবার জন্য একটি উপভোগ্য বিষয় হবে।”
তবে এই উৎসবের মূল বিষয়টিতে যোগ দিতে পারেননি নারীরা। সেখানে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পুরুষরা শয়তানকে তাড়া করে থাকেন। তবে যেহেতু সেখানে একে অপরের সংস্পর্শে আসতে হয়। তাই নারীদের ওই স্থানে যেতে দেওয়া সম্ভব হয়নি
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।