বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানাচ্ছে, তারা চাইলেও উত্তর গাজার মানুষদের মুখে খাবার পৌঁছে দিতে পারছে না। ইজরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজায় তীব্র খাদ্যসঙ্কটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মত হু-এর।
গাজায় যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। ইজরায়েলি সেনার সঙ্গে হামাসপন্থীদের যুদ্ধে গাজার সাধারণ মানুষের অবস্থা সঙ্গীন। যুদ্ধবিরতি কবে আবার ঘোষণা হবে, সেই দিনের প্রতীক্ষায় সকলে। অন্য দিকে, তীব্র খাদ্যসঙ্কটে ভুগছেন উত্তর গাজার মানুষেরা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে স্পষ্ট উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। খাবারের ঘাটতি এতটাই যে, কয়েক দিনের মধ্যেই এখানকার বাসিন্দাদের অনাহারে থাকতে হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে। কিন্তু ইজরায়েলি সেনার নিষেধাজ্ঞার কারণে মাস খানেক হয়ে গেল উত্তর গাজায় ‘মানবিক সাহায্য’ পৌঁছচ্ছে না।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মধ্যেও এই নিয়ে উদ্বেগের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানাচ্ছে, তারা চাইলেও উত্তর গাজার মানুষদের মুখে খাবার পৌঁছে দিতে পারছে না। ইজরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজায় তীব্র খাদ্যসঙ্কটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মত হু-এর। রাষ্ট্রপুঞ্জের সহ-কার্যকরী ডিরেক্টর কার্ল শাউ আশঙ্কা, ‘‘যদি দ্রুত পরিস্থিতির পরিবর্তন না হয়, তবে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন।’’
এই খাদ্যসঙ্কটের জেরে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হচ্ছে বাচ্চারা। উত্তর গাজায় খাবারের জন্য হাহাকার দিনে দিনে বাড়ছে। শুধু খাবার নয়, পানীয় জলের সঙ্কটও বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের কৃষি বিভাগের সহ-প্রধান মাউরিজিও মার্টিনা সর্তক করে বলেছেন, ‘‘গাজার প্রায় ৯৭ শতাংশ ভূগর্ভস্থ জল পানের অযোগ্য। তাই কৃষি উৎপাদনও হ্রাস পাচ্ছে।’’
ইজরায়েলি সরকার উত্তর গাজায় কোনও সাহায্য পাঠানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ২৩ জানুয়ারি শেষ বার সেখানে সাহায্য পাঠানো গিয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। তবে তারা সাহায্য নিয়ে প্রস্তুত। অনুমতি মিললেই তারা পৌঁছে যাবে গাজায়। উত্তর গাজা থেকে বাসিন্দারা পালিয়ে আসছেন দক্ষিণে। তবে সাহায্য না পৌঁছলে সেখানেও খাবারের সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।