আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজার উত্তরাঞ্চলে বৃহস্পতিবার ত্রাণ নিতে জড়ো হওয়া মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ওই হামলায় ১১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৭৫০ জনের বেশি। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, তুরস্ক, ইতালি, কলম্বিয়া, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ ও জাতিসংঘ নিন্দা জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এ ঘটনা হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির আলোচনা জটিল করে তুলবে। আর এ ধরনের ঘটনাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের বলেছেন, ঠিক কী ঘটেছে, তা নিয়ে জরুরিভিত্তিতে আরও বিস্তারিত তথ্য চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনার তদন্তের ওপর নিবিড় নজর রাখবে ওয়াশিংটন। ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, খাবার সংগ্রহে যাওয়া বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলি সেনাদের গুলি চালানোর ঘটনাটি মেনে নেওয়া যায় না। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্র ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চালানো ‘গণহত্যার’ নিন্দা জানিয়েছেন। ইসরায়েল থেকে অস্ত্র না কেনার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এক্সে দেওয়া পোস্টে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এ হত্যাকাণ্ডের কঠোর নিন্দা জানিয়ে লিখেছেন, ইসরায়েলি সেনারা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছেন। তুরস্ক বলছে, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল আরেকটি মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে।
স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস এক্সে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, গাজায় যা ঘটেছে, তা অগ্রহণযোগ্য। খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে বেশ কিছু ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন। এতে বোঝা যায়, যুদ্ধবিরতি কতটা জরুরি। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এ ঘটনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও হতাশা জানিয়েছেন। গাজায় ত্রাণ নিতে জড়ো হওয়া মানুষের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস নিন্দা জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।