আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৩ হাজার ৪শ’টিরও বেশি নতুন বাড়ির স্থাপনের চূড়ান্ত অনুমতি দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়ি তৈরি করা হবে জেরুজালেমের পূর্বে মা’লে আদুমিমে। বাকিগুলো বেথলেহেমের দক্ষিণে কাছাকাছি কেদার ও এফরাতে। নাম না প্রকাশের শর্তে ইসরায়েলের এক মন্ত্রী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই মন্ত্রী বলেছেন, দুই সপ্তাহ আগে মালে আদুমিমের কাছে ফিলিস্তিনের হামলার জবাবে এ নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। এদিকে, দলখদার রাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের চরম নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশির ভাগ অংশই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের বিষয়টির বিরোধিতা করে আসছে। কিন্তু ইসরায়েল কারও আপত্তি না মেনে বসতি স্থাপন করেই চলেছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েল সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত হায়ার প্ল্যানিং কমিটি অব দ্য সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বুধবার (৬ মার্চ) এই ৩ হাজার ৪৭৬টি নতুন আবাসন তৈরির বিষয়টির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৫২টি আবাসন তৈরি করা হবে মা’আলে আদুমিমে, ৬৯৪টি এফরাতে ও ৩৩০টি তৈরি করা হবে কেদারে।
ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ও কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিবিদ বেজালেল স্মতরিচ এই হায়ার প্ল্যানিং কমিটি অব দ্য সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২০২৩ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫১৫টি আবাসন তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শত্রুরা আমাদের দুর্বল করার চেষ্টা করছে, কিন্তু আমরা ওই ভূখণ্ডে আবাসনের স্থাপন চালিয়েই যাবো। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ১৬০টি স্থানে বসতি স্থাপন করেছে দখলদার রাষ্ট্রটি। যার অধিকাংশই পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অংশে। বিশেষ করে, পূর্ব জেরুজালেমের আশপাশে। এসব আবাসনে প্রায় সাত লাখ ইহুদি বসবাস করে। এসব বসতি বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের কাছে অবৈধ বলে বিবেচিত। ইসরায়েলি অ্যাডভোকেসি গোষ্ঠী পিস নাও গত মাসে এক প্রতিবেদনে বলেছিল, অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপন বেড়েছে নজিরবিহীনভাবে। সংস্থাটির দাবি, শান্তিময় ভবিষ্যত গড়ে তোলার পরিবর্তে ইসরায়েলি সরকার ধ্বংসের পথ তৈরি করছে। সূত্র : বিবিসি
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।