আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অবকাঠামো পুনর্গঠনে লাগবে ৯ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া গাজায় যা ঘটেছে তা মিসর এবং সমগ্র অঞ্চলের জন্য চ্যালেঞ্জ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। শনিবার এক প্রতিদেনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।
এছাড়া গাজায় যা ঘটেছে তা মিসর এবং সমগ্র অঞ্চলের জন্য চ্যালেঞ্জ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। শনিবার (৯ মার্চ) এক প্রতিদেনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি শনিবার বলেন, তার দেশের সীমান্ত সংলগ্ন গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনের জন্য ৯ হাজার কোটি ডলারের প্রয়োজন হবে। কায়রো নিউজ চ্যানেল অনুসারে, কায়রো কনভেনশন সেন্টারে দেওয়া এক বক্তৃতায় সিসি বলেন, ‘ইসরায়েলি বোমা হামলার ফলে বিধ্বস্ত হওয়া গাজা উপত্যকা পুনর্নির্মাণের জন্য কত অর্থ প্রয়োজন’ তার হিসাব (মিশরীয় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে) দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন তিনি। তার দাবি, গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনের জন্য ৯০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী। স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জার পাশাপাশি হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। এতে করে গাজার অধিকাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। বাস্তুচ্যুত হাজারো মানুষ থাকছেন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে। অনেকে ছেড়েছেন দেশ। এই অবস্থায় গাজা পুনর্গঠনে ৯ হাজার কোটি ডলার খরচ হবে বলে জানান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘গাজায় যা ঘটেছে তা মিসর এবং সমগ্র অঞ্চলের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। রাফাহ ক্রসিং সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে এবং আমরা গাজা উপত্যকায় সাহায্য আনতে আগ্রহী।’
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, স্থলপথে সহায়তা সরবরাহে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার কারণে মিসর গাজা উপত্যকায় সহায়তা এয়ারড্রপ করেছে।
এমিরাতি বার্তাসংস্থা ডব্লিউএএম জানিয়েছে, মিসর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের জন্য গত শুক্রবার পঞ্চম দফা এয়ারড্রপের মাধ্যমে যৌথভাবে মানবিক সহায়তা মিশন পরিচালনা করে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।