আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার আল শিফা হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে এক শীর্ষ নেতাসহ ২০ হামাস যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। সেই সঙ্গে হাসপাতালের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও অর্থ উদ্ধারের দাবিও করা হয়েছে। খবর : রয়টার্স।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, হাসপাতালটিতে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা লুকিয়ে আছেন এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায় তারা। এরই মধ্যে ওই নেতাসহ বেশ কয়েকজন হামাস সদস্যকে হত্যার দাবিও করেছে তারা। এছাড়া এ সময় দুই শতাধিক মানুষকেও আটক করা হয়। সেই সঙ্গে হাসপাতালের ভেতর থেকে হামাস ও ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও নগদ অর্থ খুঁজে পাবার কথাও জানিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। তবে আল শিফায় অভিযানের সময় হাসপাতাল ও এর আশপাশের এলাকায় হামাসের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে ইসরাইলি সেনাদের।
এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি জানিয়েছে, সোমবার দিনভর দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নেতানিয়াহু বাহিনীর কয়েকজন নিহত ও বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া যান ধ্বংসের দাবি করেছে হামাস।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি আল-শিফায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। ট্যাংক, ড্রোন এবং অস্ত্র ব্যবহার করে আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে হামলাকে 'একটি যুদ্ধাপরাধ' বলে অভিহিত করেছে তারা। এদিকে, হাসপাতালটিতে ইসরাইলি অভিযানের খবর পাওয়ার পর আশপাশের এলাকা ছেড়ে দক্ষিণ দিকে পালাতে শুরু করেছেন নিরুপায় ফিলিস্তিনিরা।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ফোনালাপ হয়েছে। এ মসয় রাফাহতে স্থল অভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাইডেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।