বিভিন্ন মিশন ও কূটনৈতিক ইস্যু সংক্রান্ত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব কর্মকর্তা ও কর্মী ইসরায়েলে অবস্থান করছেন, তাদের জন্য ভ্রমণ বিষয়ক বিধিনিষেধ জারি করে বার্তা দিয়েছে সেখানকার মার্কিন দূতাবাস। সেই বার্তায় সরকারি-বেসরকারি মিশনে কর্মরত মার্কিন কর্মকর্তা ও কর্মীদের বৃহত্তর জেরুজালেম, তেল আবিব এবং বিয়েরশেভা এলাকার বাইরে ভ্রমণ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার ইরানি কনস্যুলেটে এক বোমা হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছিলেন। হামলাটি যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) চালিয়েছিল— বিভিন্ন সাক্ষ্য ও আলামতে তার প্রমাণ পাওয়া যেছে। তবে দাপ্তরিকভাবে ইসরায়েল এখনও এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
ইরান এই হামলার যথাযথ প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ইরানের এই ঘোষণার জেরেই ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস অতিসাম্প্রতিক এই ভ্রমণ বিষয়ক বিধিনিষেধ জারি করেছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
হামলার পর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানকে ফোন করে সহিংসতার জের আর না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন, তবে ইরান সেই আহ্বানে সাড়া দেবে— এমন সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
কারণ, নিহত ১৩ জনের মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা কুদস ফোসের সিরিয়া ও লেবানন শাখার কমান্ডারসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।