ভিডিও

ইসরায়েলকে সহায়তা করায় জর্ডানে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৪, ০৮:০৬ রাত
আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২৪, ১১:১৫ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জেরে ইসরায়েল লক্ষ্য করে ৩শ’র বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। কিন্তু সেগুলো ইসরায়েলে পৌঁছানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্রতিবেশী জর্ডান। ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে জর্ডানও ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভূপাতিত করার দায়িত্ব নিয়েছিল।

এটি আত্মরক্ষার জন্য করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জর্ডান সরকার। তাদের দাবি, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো জর্ডানের জনগণ ও জনবহুল এলাকাগুলোর জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জর্ডানের নাগরিকরা তাদের সরকারের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষিপ্ত। প্রতিবাদে এরই মধ্যে রাস্তায় নেমে এসেছেন তারা।

হুসেইন নামে দেশটির এক রাজনৈতিক কর্মী বলেন, জর্ডান যেভাবে ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে, তাতে আমি খুবই বিরক্ত। বিপদের আশঙ্কা থাকায় তিনি তার পুরো নাম উল্লেখ করতে চাননি। ওই ব্যক্তি বলেন, এখানকার অনেকেই এটি মেনে নিচ্ছে না।

আমরা ইরানকে সমর্থন করি না এবং গাজায় এখন যা ঘটছে তার পেছনে ইরানের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করি। কিন্তু গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি করে, এমন যে কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে রয়েছি আমরা।

মারিয়াম নামে আম্মানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, জর্ডানে ইরানের জনপ্রিয়তা নেই। কিন্তু আমি ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র জর্ডানের বাধা দেওয়া ও অনিচ্ছাকৃতভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রত্যাখ্যান করি।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডানের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে জর্ডানের পার্লামেন্টের অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে সমালোচনা রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্য, পরিবহন ও প্লেন বাধা ছাড়াই জর্ডানে ঢুকতে ও ঘুরে বেড়াতে পারবে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আম্মানে ইসরায়েলের দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে কয়েক হাজার স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। তারা ১৯৯৪ সালে ইসরায়েল ও জর্ডানের মধ্যে সই হওয়া শান্তিচুক্তি বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS